শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: হিংসার বলি পরিবারের দুই সদস্য। আর চাইলেও কাছে পাওয়া যাবে না কাছের মানুষদের। স্বজন হারানোর শোকে এখনও ভারী মন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ঘোষণা করা আর্থিক সাহায্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে নিহত হরগোবিন্দ ও চন্দন দাসের পরিবারের।
পরিবারের সদস্যরা জানান, “বুধবার হরগোবিন্দ এবং চন্দনের আদ্যশ্রাদ্ধ ছিল। সকলে এতটাই ভীত যে কোনও পুরোহিত আসতে চাননি। ক্ষৌরকারও পাননি। কীর্তনের দলের সাহায্যে কোনওক্রমে কাজ করেন।” হরগোবিন্দ দাসের মেয়ের দাবি, “যে চলে গিয়েছে তাকে আর পাব না। টাকা নিয়ে কী করব? আমরা আর্থিক সাহায্য চাই না।” তাঁর অভিযোগ, “পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হয়তো এমনদিন দেখতে হত না।”
উল্লেখ্য, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাড়ি, দোকান ভাঙচুর। ঘরছাড়াও হন অনেকেই। পরিবারের লোকজনের দাবি, ওই হিংসার বলি হরগোবিন্দ ও চন্দন দাস। তাঁদের কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ডিজি রাজীব কুমার খোদ এলাকায় যান। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এলাকায় শান্তি ফেরান। বর্তমানে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। এই আবহে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। ওই আর্থিক সাহায্য নিতেই অস্বীকার করছেন মৃতের পরিবারের লোকজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.