প্রতীকী ছবি
রাজা দাস, বালুরঘাট: স্বামীর বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক জেনে গিয়েছিলেন স্ত্রী! ‘পথের কাঁটা’ সরাতে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঘর থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার অন্তর্গত বুনিয়াদপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম পারূল সরকার। বয়স ৩৬ বছর। তিনি বুনিয়াদপুর পুরসভার বাসিন্দা। মৃতার স্বামীর নাম নয়ন সরকার। দম্পতির একটি নাবালক মেয়ে ও ছেলে রয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পারে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এমনটাই তাঁদের দাবি। তাঁরাই ঝুলন্ত পারূলকে নামিয়ে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় বংশীহারী থানার পুলিশ। এবং মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ, পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে তাদের বাড়ির মেয়েকে। এবিষয়ে মৃত গৃহবধূর ভাই কমল মণ্ডল বলেন, “জামাইবাবু প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তা জানতে পারার পর দিদির উপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার চালাত নয়ন সরকার ও তাঁর বাবা-মা। দু’দিন আগে দিদি বাড়িতে আসে। আশঙ্কা প্রকাশ করে নয়ন তাঁকে মেরে ফেলবে। কিন্ত দিদিকে বুঝিয়ে সুজিয়ে স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দিই। নয়নকেও বোঝানো হয়। দিদিকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।” তাঁদের আরও দাবি, সন্দেহ দূর করতে ওরা দেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় নয়ন, তার বাবা মা-সহ সম্পর্কে থাকা মহিলাও যুক্ত। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে মৃতার পরিবার।
বুনিয়াদপুর পুরসভার পুর-প্রশাসক কমল সরকার জানান, এদিন ১ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে ঘটনার কথা জানতে পারি। পুলিশকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে করছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সকলকে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.