সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই থেকে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে মৃত্যু বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের। রাঁচিতে রাস্তার পাশে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহে মিলেছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ নিহতের পরিবারের। জগৎবল্লভপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার।
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের পাতিয়ালের বাসিন্দা শেখ মইদুল আলি এলাকায় জরির কাজ করতেন। তবে সেভাবে আয় না হওয়ায় মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানেও একই কাজ করতেন। তবে আয় হত তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু লকডাউন শুরু হতেই সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খেতেও পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন তিনি। গত ২২ মে স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। ফোনে জানান, বাড়ি ফেরার জন্য বাসে উঠছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন বেশ কয়েকজন বন্ধু। গত ২৪ মে ফোনে শেষবার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। তারপর থেকে ফোন সুইচড অফ ছিল তাঁর। পরিবারের কেউই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
গত ২৭ মে ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফে মইদুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানায় রাঁচিতে রাস্তার পাশ থেকে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর দেহে রয়েছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। এরপর জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশের তৎপরতায় দেহ বাংলায় ফিরিয়ে আনা হয়। এই ঘটনায় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের বন্ধুদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী। ইদের সময় বাড়ি ফিরবেন বলেই জানিয়েছিলেন মইদুল। তবে প্রাণ নিয়ে ঘরে ফেরা হল না তাঁর। স্বামীর মৃত্যুতে নিজেকে সামলাতে পারছেন না নিহতের স্ত্রী। এদিকে, আবার কেরল থেকে ফেরার পথে ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাস। কেরল থেকে ৩৮ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতায় ফিরছিল বাসটি। ওড়িশায় বাস উলটে জখম হন বাংলার সাত শ্রমিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.