শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: সাবমার্সিবল পাম্প থেকে জল নয় বেরিয়ে এল ‘দুধ’! যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির পাটকেলডাঙা অঞ্চলের বাসন্তী বুড়িতলা মায়ের মন্দিরে আসা দর্শনার্থীদের। ঘটনা জানাজানি হতেই অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে বোতলবন্দি মায়ের আর্শীবাদপুষ্ট ‘দুধ-জল’ নেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। যদিও বিজ্ঞানমঞ্চের দাবি, কোনও অলৌকিক ঘটনা নয়। কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে থাকতে পারে। পরীক্ষা করলে বোঝা যাবে। এটা কোনও অলৌকিক ঘটনার ভাবার কিছু নেই।
পাটকেলডাঙা অঞ্চলের বাসন্তী বুড়িতলা মায়ের মন্দিরে দীপাবলি উপলক্ষে মেলা চলছিল। সেই সঙ্গে হাজার-হাজার দর্শনার্থীকে খিচুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা করে পুজো কমিটি। খাওয়া-দাওয়ার পর রাত বারোটা নাগাদ অধিকাংশ ভক্ত বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাসন ধোওয়ার জল আনতে গেলে, সাবমার্সিবল পাম্প থেকে জলের বদলে বেরিয়ে আসে দুধ। যা দেখে রীতিমতো অবাক মন্দিরে থাকা সকলে। অনেকেই সেই দৃশ্য দেখে ভয়ে পালিয়ে যান। তড়িঘড়ি সাবমার্সিবল পাম্পের সুইচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। মিনিট দশেক পর আবার পাম্প চালালেও জল বা দুধ বের হচ্ছিল না।কিছুক্ষণ পর আবার দুধ ও জল বেরিয়ে আসতে থাকে।
অনেকে আবার সেই দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করেন। অনেকে খেয়েও দেখেন, তরলের স্বাদ একেবারে দুধের মতোই। কেউ কেউ বলছেন, মায়ের কৃপায় এই দুধ বের হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, কোথা থেকে এলো এই দুধ? এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্যের ছড়িয়েছে সাগরদিঘির বাসন্তী বুড়িতলায়।
স্থানীয় যুবক রহমতুল্লাহ শেখ জানান, “আমি নিজে খেয়ে দেখলাম জল মনে হচ্ছিল। তুলসী পাতার রসের স্বাদ আছে। আর জলটা দুধের মতো তেল তেলে ভাব রয়েছে।” যদিও এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান মঞ্চের মুর্শিদাবাদের কনভেনার সজল বিশ্বাস বলেন, “অনেক সময় লাল, নীল, সবুজ জলের ঘটনা ঘটে। মাটির নিচের রাসায়নিক বিক্রিয়ার জেরেই এসব হচ্ছে। মাটির নিচে সিলভার নাইট্রেটের সঙ্গে এইচসিএলের বিক্রিয়া হলে এমন সাদা দুধের মতো তরল তৈরি হতে পারে। বাসন্তী বুড়িতলা মায়ের মন্দিরেও এরকম কিছু ঘটেছে। কেউ অহেতুক ভয় পাবেন না। পরীক্ষা করলেই বিজ্ঞানসম্মত বিষয়টি সামনে আসবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.