পলাশ পাত্র, তেহট্ট: স্বচ্ছ হিমালয়ের বার্তা নিয়ে এবার ‘চন্দ্রভাগা’ অভিযানে রওনা হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের এক অভিযাত্রী দল। কিন্তু আচমকা ছন্দপতন। ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় বেস ক্যাম্পে পৌঁছনোর পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক অভিযাত্রীর। মৃতের নাম সাহেব সাহা। শুক্রবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছেছে মৃত্যু সংবাদ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
১০ সেপ্টেম্বর নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার লাভার্স অ্যাসোসিয়েশানের তরফে ১৩ জনের একটি অভিযাত্রী দল কৃষ্ণনগর থেকে মানালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেই দলেই ছিলেন নদিয়ার চাপড়া থানার বাসিন্দা সাহেব সাহা। ১৪ সেপ্টেম্বর রোটাং পাস থেকে শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয় সাহেববাবুর। জানান, অভিযান শেষে আবার বাড়িতে ফোন করবেন। এরপর শুরু হয় অভিযান পর্ব। ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় বেস ক্যাম্পে পৌঁছয় দলটি। পরে শুক্রবার ওই সংস্থার তরফে সাহেববাবুর বাড়িতে গিয়ে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। জানা যায়, বেস ক্যাম্পে পৌঁছনোর পরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল সাহেবের। বেশ কিছুক্ষণ সময় পেরিয়ে যায় তাঁকে নিচে নামাতে। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। পরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের কাজা থানা এলাকায় রয়েছে সাহেববাবুর দেহ। সেখান থেকে কীভাবে কৃষ্ণনগরে দেহ ফেরানো হবে তা এখনও জানা যায়নি। নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার লাভার্স অ্যাসোসিয়েশানের তরফে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে দেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দ্রুত দেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন তিনি। এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনিও অবিলম্বে দেহ ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু দেহ কীভাবে ফিরবে, কবে ফিরবে তা এখনও জানে না পরিবার। সাহেববাবুর মায়ের আক্ষেপ, কেন বাধা দিলেন না ছেলেকে। তবে তো এই অঘটন ঘটত না। কতক্ষণে ছেলের দেহ ফিরবে বাড়িতে সেই অপেক্ষায় পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.