বিপ্লব দত্ত, রানাঘাট: ফুচকা লোভনীয় সন্দেহ নেই। কিন্তু তার নেশা যে এমন সাংঘাতিক কে জানত! উঠল বাই তো ফুচকা চাই। কিন্তু এদিকে বিক্রেতার ঝুড়ি যে ফাঁকা। ফুচকা আসবে কোথা থেকে? কিন্তু কে শোনে কার কথা! প্রথমে জোরাজুরি। তারপরে বচসা। শেষে চলল হাত। ফুচকা চেয়ে না পেয়ে বিক্রেতাকেই বেধড়ক মারধর করা শুরু করল তিন যুবক। মারের চোটে হাসপাতালে ভরতি জখম দুই ফুচকা বিক্রেতা।
[ মার খেয়ে বাড়ি ছেড়েও পড়া ছাড়েননি আলমিনা ]
ঘটনা নদিয়ার কুপার্সে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে ফুচকা বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন দুই বিক্রেতা। একজনের নাম শম্ভু বাইন। তিনি কুপার্স নোটিফায়েডের চেয়ারম্যান শিবু বাইনের ভাই। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। তিনিও ফুচকা বিক্রেতা। দু’জনে বেশ বন্ধু। দুই বন্ধু যখন বিক্রিবাটা শেষে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন বুড়িবটতলার কাছে তিন যুবক তাঁদের থেকে ফুচকা চান। বিক্রেতারা জানান, তাঁদের কাছে আর কোনও ফুচকা নেই। যা ছিল ফুরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু দুই বিক্রেতার কথাই বিশ্বাস করেননি যুবকরা। এক দু-কথায় বিতণ্ডা বেধে যায়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। তিন যুবক চড়াও হয় দুই বিক্রেতার উপর। প্রাণে বাঁচতে স্থানীয় বাসিন্দা সুবোধ বিশ্বাসের বাড়িতে আশ্রয় নেন তাঁরা। কিন্তু যুবকদের রোষ থেকে তিনিও রক্ষা পাননি। ৬৭ বছরের সুবোধবাবুকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
[ কামারশালার হাপর টেনেই সংসারের খিদে মেটান মঙ্গলা ]
এদিকে সামান্য ফুচকা নিয়ে এরকম ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আহত দুই ফুচকা বিক্রেতাকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে রানাঘাট থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এখনও পর্যন্ত তিন যুবকের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রহৃত দুই বিক্রেতার একজন চেয়ারম্যানের ভাই। তিনি অবশ্য বলছেন, পুলিশ আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওযার তাই-ই নেবে।
[ ঝুড়ি না বুনলেই ডিভোর্স! আজব গ্রামের আজব কাহিনি ]
ছবি: সুজিত মণ্ডল
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.