প্রতীকী ছবি
সুবীর দাস, কল্যাণী: সম্পত্তির লোভে নিজের ছেলেকেই অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। মহিলা তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী এবং শ্বশুরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছেলেকে অপহরণের ছক কষেন বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia ) শিমুরালি চৌরাস্তা মোড়ে। তাঁরা একটি সাদা গাড়ি করে সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দেন পড়ুয়ার বন্ধু ও তার মা। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। গাড়িটিকে আটকে রেখে চাকদহ থানায় খবর দেন তাঁরা। অভিযুক্তদের আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম অঙ্কুশ বিশ্বাস। সে রাউতাড়ি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার স্কুলের পরীক্ষার শেষে অঙ্কুশ এক বন্ধুর মায়ের সঙ্গে চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির সৎসঙ্গ এলাকার বাড়িতে ফিরছিল। সেই সময় তারা চাউমিন খেতে একটি দোকানে যায়। তখনই পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি সাদা গাড়ি এসে দাঁড়ায়। জানা গিয়েছে, অঙ্কুশের মা তার ঠাকুমা মারা গিয়েছেন বলে তাকে জোর করে নিয়ে যেতে চান। এর পরই চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে অঙ্কুশের বাবা অমিয় বিশ্বাস কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার আগে নাবালক পুত্র অঙ্কুশের নামে সব সম্পত্তি লিখে দেন তিনি। এর পরই অঙ্কুশের মা তাকে শিমুরালি জিপির তেলেপুকুর এলাকায় বাপের বাড়িতে রেখে দমদমের এক বাসিন্দাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। দাদু, দিদার কাছেই থাকছিল অঙ্কুশ। এর মধ্যেই এদিন সকালে তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।
কেন অপহরণের চেষ্টা? প্রশ্ন করা হলে ওই পড়ুয়ার মা বলেন, “আমার ছেলেকে আমি নিয়ে যেতে পারব না?” অঙ্কুশের দাদু বলেন, “নাতিকে আমার কাছে রাখার আইনি অধিকার রয়েছে। আদালত থেকে সেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে।” অঙ্কুশ জানায়, “বাবার টাকা নেওয়ার জন্য আমাকে কিডন্যাপের চেষ্টা করছিল মা, তার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ও শ্বশুর।” এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.