পলাশ পাত্র, তেহট্ট: জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে আলো রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে জলঙ্গি পাড়ের তেহট্ট। সীমান্ত এই জনপদের পুজোর বয়স মাত্র কুড়ি। তাতে কি! আন্তরিকতার পাশাপাশি থিমের দাপট কম নয়। পুজোর চারটে দিন প্রান্তিক এই মহকুমার মানুষ যেন একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এক অন্য বন্ধনে।
কুড়ি বছর আগে সেমনেন্স বয়েজ ক্লাবের হাত ধরেই তেহট্টে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়ে। এখানে দেবী জগদ্ধাত্রী বুড়িমার পুজো হিসেবেই খ্যাতি লাভ করেছে। দিন যত এগিয়েছে ততই জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেমনেন্সের বুড়িমা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পুজোর সংখ্যা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট, বড় মিলিয়ে প্রায় ৯০টিরও বেশি জগদ্ধাত্রী পুজো হয় ওই এলাকায়। পুজোকে কেন্দ্র করে সদা সতর্ক প্রশাসন। তেহট্ট মহকুমা শাসক অনীশ সেনগুপ্ত বলেন, ‘অনুমোদন পেয়েছে ৪৩টি পুজো। তবে সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় নব্বই হবে। আমরা শব্দের দাপট রুখতে কড়া নজরদারি চালাই। বিসর্জনের সময়ও নদীকে বাঁচাতে হবে। তাই কাঠামো তোলা থেকে শুরু করে ফুল বেলপাতা নিয়েও সতর্ক প্রশাসন। এছাড়াও ভাসানে দুর্ঘটনা রুখতে পঞ্চায়েত থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগ করা হচ্ছে। যারা প্রতিমা নদীতে ভাসিয়ে দেবে বলেও জানান মহকুমা শাসক।
কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর থিম তেহট্টের কয়েকজন যুবককে আকৃষ্ট করেছিল। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই কুড়ি বছরের মধ্যে তেহট্টে ব্যাপকভাবে জমে উঠেছে পুজো। এবছর তেহট্টের মণ্ডলপাড়া এসএসসি ক্লাবের পুজোর প্যান্ডেল তৈরি হয়েছে তারাপীঠের আদলে হয়েছে। এখানে সতেরো ফুট দীর্ঘ মূর্তি গড়া হয়েছে। বর্গীপাড়া যুব সংঘের থিম ফণী ঝড়। মানব স্ট্যাচু ও আলোর মাধ্যমে তিরুপতিনাথের মন্দির আলাদা নজর কাড়বে বলে উদ্যোক্তাদের আশা। চাতরপাড়া বারোয়ারি শিবলিঙ্গের আদলে গড়েছে মণ্ডপ। তেহট্ট হাইস্কুল পাড়ার থিম জল সংরক্ষণ। জামতলা বারোয়ারির থিম কাল্পনিক মন্দির। পাওয়ার হাউসপাড়া বারোয়ারি থিম জল ধরো জল ভরো। নতুনপাড়া বারোয়ারি প্রতিমা করেছে পাট দিয়ে। প্রতিদিনই প্যান্ডেল ও প্রতিমা দর্শন করতেই মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.