রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: সদ্যই একই পরিবারের পাঁচজনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্বের প্রমাণ। হোম কোয়ারেন্টাইনের পরিবর্তে চতুর্দিকে ঘুরে বেড়িয়েছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। এই খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে কাঁপছে নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার বার্নিয়া শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রাম। বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না কেউ। ঝাঁপ ফেলেছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানপাট। খোলেনি পেট্রল পাম্পও।আতঙ্কে কাঁপছে নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার বার্নিয়া শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রাম। বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না কেউ। ঝাঁপ ফেলেছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানপাট। খোলেনি পেট্রল পাম্পও।
গ্রামের ১০৩ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুধীর কুমার রায় জানান, গত ১৬ মার্চ রাতে দিল্লি থেকে বাড়িতে ফেরেন করোনা আক্রান্তরা। এরপর তাঁর ছেলে লন্ডন থেকে ফিরে দেখা করেন। চারদিন পর বাড়িতে আসেন দুই শ্যালিকা এবং তাঁর সন্তানেরা। গ্রামের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল সাতাশে মার্চ। সেখানে গৃহকর্তার শ্বশুরের বাৎসরিক কাজ হওয়ার কথা। সেই উপলক্ষে গ্রামের বেশ কিছু লোকজনকে ডেকে আলোচনা হয়। ওই জমায়েতই ভাবাচ্ছে স্থানীয়দের।
সেদিন অনেকে খেয়াল করেন তাঁর বাড়ির একটি ঘর তালাবন্ধ। ওই ব্যক্তি জানান, সে ঘরে তাঁর শ্যালিকা রয়েছেন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে। এ খবর কানে যায় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের। তৎপরতার সঙ্গে ওই পরিবারের সদস্য এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা ১৩ জনের লালাপরীক্ষা করানো হয়। তাতেই দেখা যায় পাঁচজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এছাড়াও আক্রান্ত বাজারে গিয়েছেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। আক্রান্ত ওই ব্যক্তির ছেলে বর্তমানে দিল্লির এক হাসপাতালে ভরতি। লন্ডন ফেরত ওই যুবকের কাছ থেকে এই রোগের জীবাণু বহন করে এনেছেন উক্ত মহিলারা বলে জানান গ্রামবাসীরা।
গ্রামেরই বাসিন্দা অসিত বিশ্বাস বলেন, দিনকয়েক আগে দিল্লি থেকে ফেরা ১৩ জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন থেকেই গ্রামে একটা চাপা আতঙ্ক ছিল। শুক্রবার পাঁচজনের রক্তে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ায় রাতের ঘুম উড়েছে। এ বিষয়ে তেহট্টের মহকুমা শাসক অনীশ দাশগুপ্ত বলেন, “স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীদের গ্রামে পাঠানো হয়েছে। আক্রান্তের পরিবারের লোকজন কোথায় কাদের সাথে মিশেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ন্যূনতম যদি কারোর উপসর্গ দেখা যায় তাঁদের নমুনা পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.