ছবি: প্রতীকী
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বাড়িতে বকুনির হাত থেকে বাঁচতে গণধর্ষণের গল্প ফেঁদেছিল বীরভূমের নানুরের (Nanur) নাবালিকা! তারপরই ঘরে ঢুকে চেষ্টা করে আত্মহত্যার। দিনভর টানাপোড়েনের পর প্রকাশ্যে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কিন্তু কেন এই গল্প? পরিবারের দাবি, বাবার কাছে বকুনির ভয়ে এই কীর্তি নাকি এই কীর্তি।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকেলে। এদিন নানুরের সাঁওতা গ্রামের বাসিন্দা এক নাবালিকা ছাত্রী বিশ্বকর্মা ঠাকুর দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। স্বাভাবিকভাবেই সন্ধেয় ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও সে ফেরেনি। মোবাইলও ছিল বন্ধ। সারারাত কোথাও হদিশ মেলেনি নাবালিকার। রবিবার সকালে বাড়ি ফিরতেই পরিবারের সদস্যরা বকাবকি করে নাবালিকাকে। প্রশ্ন করে সারারাত কোথায় ছিল সে। সেই সময় সে দাবি করে, কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশ্বকর্মা পুজোর মেলা দেখে গভীর রাতে একা স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। রাস্তায় তার পথ আটকায় চার যুবক। তার মুখে গ্যাস দিয়ে অজ্ঞান করে গণধর্ষণ করে। সকালে জ্ঞান ফিরলে স্কুটি ও মোবাইলটি মাঠের মধ্যে তার পাশে পরে থাকতে দেখে। জানা গিয়েছিল, ছাত্রীর পোশাকেও নাকি মিলেছিল রক্তের দাগ। এরপরই আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা।
বিষয়টি জানার পরই কীর্ণাহার মেলা কমিটির সম্পাদক ইয়াসিন রহমান খান জানান, রাত ১০ টার মধ্যেই মেলা বন্ধ হয়ে যায়। তাদের মেলার নামে বদনাম করতেই এই চক্রান্ত করা হচ্ছে। দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দিতে গিয়েই ছাত্রীটি কেঁদে ফেলে। জানায়, সে সারারাত বন্ধুর বাড়িতে কাটিয়েছে। পরে নাবালিকার মা-ও একই কথা জানান। বলেন, বাবার বকুনির ভয়ে মিথ্যে গল্প ফেঁদেছিল সে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নাবালিকার কীর্তি হতবাক করেছে পুলিশ ও প্রতিবেশীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.