স্টাফ রিপোর্টার: নতুন করে সাগর ভাঙন শুরু হয়েছে কপিল মুনির আশ্রমের কাছে। মন্দির থেকে ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই শুরু হয়েছে ভাঙন। যার জেরে, সাগরমেলার সময় যে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প হয়, তা ওই এলাকা থেকে অন্যত্র সরানোর পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যেই ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে সেচদপ্তর। নেওয়া হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান।
গতবার মেলার আগেই বোল্ডার ফেলে সেই ভাঙন রোধের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করা হয়। তবে ভাঙন ঠেকাতে পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে চাইছে দপ্তর। এ নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। শনিবার তিনি নিজে এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। স্থানীয় বিধায়ক ও প্রশাসনকে নিয়ে শনিবার তিনি বৈঠকে বসবেন। থাকার কথা দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদেরও।
সূত্রের খবর, কোনওরকম অপ্রীতিকর অবস্থা ঠেকাতেই তৈরি করা হবে মাস্টারপ্ল্যান। গঙ্গাসাগর মেলার আগেই তা বাস্তবায়িত করা হবে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, যেখানে এখন সাগরমেলা হয়, সেখানে ভার কমানো হবে। এ বছরই একেবারে তা করে ফেলা না হলেও ধীরে ধীরে একে একে মেলার ভার কমিয়ে মন্দির সংলগ্ন অন্যদিকে সাগরমেলা বসানোর পরামর্শ সরকারকে দিতে চায় দপ্তর। জানা যাচ্ছে, সাগরের জল প্রতি বছর ৪ মিলিমিটার করে বাড়ছে। অন্যদিকে, সৈকতের বালির অংশ বসছে ৩ মিলিমিটার করে। মোট এই ৭ মিলিমিটার করে বছরে এলাকা বসে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি এখনই আশঙ্কার নয় বলে জানাচ্ছে দপ্তর। কিন্তু, যে অংশ বসে যাচ্ছে সৈকতের, সেখানেই মেলা হয়।
তাই ধীরে ধীরে সৈকতের উপর থেকে মেলার চাপ কমাতে আগে থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগে যে মন্দির ছিল, এমন ভাঙনেই তা বহু বছর আগে তলিয়ে যায়। নতুন করে এই মন্দির তৈরি করা হয়। তবে সাগরের চরিত্র অনুযায়ী মাঝেমাঝেই তার কিনারার নানা দিকে এমন ভাঙন-রোগ ধরে।
মেলার সময় যে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প হয়, এই ভাঙন দেখা গিয়েছে সেখানেই। তবে এখনই বড় কোনও আশঙ্কার পরিস্থিতি তৈরি না হলেও ভবিষ্যতের কথা ভেবেই যাবতীয় বন্দোবস্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সেচমন্ত্রীর বক্তব্য, “এখনই কোনও আশঙ্কার বিষয় নেই। তবে আগে থেকে কাজটা শুরু করলে ভবিষ্যতের আশঙ্কাও থাকবে না।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.