ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: প্রেমে আপত্তি পরিবারের। পাঁচ বছর ধরে সেই আপত্তি উপেক্ষা করে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিল এক কিশোরী। অবশেষে বয়স আঠারো ছুঁতেই সব বাধা পেরিয়ে পালিয়ে যান মনের মানুষের সঙ্গে। দু’জনে বিয়ে করে। তবে সে বিয়ে পূর্ণতা পায়নি। কারণ বিয়ের পর থেকেই ওই নববধূকে হুমকি দিতে শুরু করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ, তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখাতে থাকে তঁর বাবা। আতঙ্কে ফুলশয্যার দিনটি বাড়ির বদলে থানাতেই কাটালেন ওই নবদম্পতি। নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানা এলাকার।
তিন দিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন দেবাদৃতা ও বুবাই। দু’জনেই অশোকনগর এলাকার বাসিন্দা। বুবাই অশোকনগর পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দেবাদৃতার বাপের বাড়ি ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’জনের পরিবারের অর্থনৈতিক কাঠামোয় বিস্তর ফারাক। বুবাই একটি ব্যাগের কারখানায় কাজ করেন। অন্যদিকে দেবাদৃতার বাবার লিফটের ব্যবসা রয়েছে। সে কারণেই এই সম্পর্কে প্রবল আপত্তি জানান দেবাদৃতার বাবা চিন্ময় শীল। দেবাদৃতার অভিযোগ, পাঁচ বছরে ধরে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বাবা-মা তাঁর উপর অত্যাচার চালাত। তিনি বলেন, “প্রায় রাতেই বাবা মদ্যপ অবস্থায় ফিরে আমাকে মারধর করত। আঠারো বছর বয়স না হওয়ার কারণে বাড়ি ছেড়ে যেতে পারছিলাম না। মাস দু’য়েক আগে আঠারো পার হয়েছে। ২৯ তারিখ রাতে আমাকে মারধর করে বাড়ির বাইরে বের করে দেয় বাবা-মা। তার পরই বুবাইকে বিষয়টি জানাই। পরের দিন দু’জনে পালিয়ে বিয়ে করি।” বিয়ের কথা জানার পর থেকেই তাঁর পরিবারের লোকেরা হুমকি দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ফুলশয্যার দিন অর্থাৎ শনিবার রাতে বয়সের প্রমাণপত্র নিয়ে অশোকনগর থানায় দরবার করেন দেবাদৃতা। পরিবারের হুমকির কথা পুলিশকে জানান তিনি।
(চিত্র প্রতীকী)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.