সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবারের পর রবিবারও গোটা রাত জেরা করা হল নিমতাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত প্রিন্সকে। বিশাল ও প্রিন্সকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হয়। পুলিশের দাবি, দু’জনের কথায় একাধিক অসংগতি রয়েছে। তবে এদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবার তদন্তকারীদের নজরে দেবাঞ্জনের বান্ধবী। পাশাপাশি, আটক করা হয়েছে প্রিন্সের আরও ২ বন্ধুকে। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
দেবাঞ্জন হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে বজবজ থেকে প্রিন্স সিংকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের দাবি জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে প্রিন্স। ঠিক কী কী হয়েছিল সেদিন রাতে সেই ঘটনারও বিবরণও দেয় ধৃত। তার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এবার সন্দেহের তালিকায় নিহত দেবাঞ্জনের বান্ধবী অর্থাৎ প্রিন্সের প্রাক্তন প্রেমিকা। জেরায় আগেই উঠে এসেছিল যে, দেবাঞ্জনের সঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিকার সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না প্রিন্স। সেই কারণেই খুনের ছক। কিন্তু তদন্তে উঠে এসেছে যে, বিচ্ছেদের পরও প্রিন্সের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল দেবাঞ্জনের বান্ধবীর। তার সঙ্গে দেবাঞ্জনের সম্পর্ক যে প্রিন্স ভালভাবে নিচ্ছে না সেটাও জানত ওই তরুণী। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন।
প্রেম, বিচ্ছেদ, নতুন সম্পর্ক। নবমীর রাতে একইসঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিক ও দেবাঞ্জনের সঙ্গে পার্টি। তারপরই খুন দেবাঞ্জন। তবে কি গোটা পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকায় ওই তরুণী? নবমীর রাতে তৃষাকে বাড়ি ছেড়ে ফেরার পর কি তবে সেই প্রিন্সকে জানিয়েছিল দেবাঞ্জনের গতিবিধি? এই সন্দেহও উড়িয়ে দিতে পারছে না তদন্তকারীরা। এই সব প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রিন্স, বিশাল ও তাদের ২ বন্ধুকে। সেইসঙ্গে নজর রাখা হচ্ছে দেবাঞ্জনের বান্ধবীর গতিবধির উপর। দ্রুতই রহস্যের পর্দা ফাঁস হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.