ফাইল ফটো
চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসনসোল: বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন ব্যাপী কয়লা শিল্পে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কয়লা শ্রমিক ইউনিয়ন ও ফেডারেশন। কয়লা শিল্পে ১০০ শতাংশ বিলগ্নিকরণ ও নিলামের মাধ্যমে ৫০০ কয়লা ব্লক বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। গত ১৬ জুন পাঁচ দফা দাবি-সহ ধর্মঘটের কথা উল্লেখ করে চিঠি পাঠানো হয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশিকেও। পাঁচ শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় মজদুর সংঘ (বিএমএস), সিটু, আইএনটিইউসি, টিইউসি, এআইটিইউসি ও হিন্দ মজদুর সভা। তবে এই ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন ইসিএলের সিএমডি প্রেমসাগর মিশ্র।
ইসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, শ্রমিক সংগঠনগুলি কেন্দ্রীয় নীতির বিরোধিতা করে ধর্মঘটে যাচ্ছে তার সঙ্গে ইসিএলের কোনও সম্পর্ক নেই। ইসিএলের কোনও কোল ব্লকই নিলাম হচ্ছে না। বরং দেশের তাপ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে কেন্দ্র থেকে ইসিএলকে ৩টি নতুন কোল ব্লক দেওয়া হয়েছে। এই ৩টি নতুন কোল ব্লক চালু হলে ইসিএল অধ্যুষিত এলাকায় সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়ন ঘটবে। ধর্মঘটে গেলে খনি শিল্পে বিপর্যয় নামতে পারে। সিএমডি বলেন কয়লার চাহিদার কথা মাথায় রেখে দেশজুড়ে COVID-19-এর সময়ও পূর্ণমাত্রায় যেখানে কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে সেখানে হঠাৎ করে এই ধর্মঘট একেবারেই কাম্য নয়।
এদিকে ধর্মঘট প্রসঙ্গে এআইটিইউসির রাজ্য সভাপতি রামচন্দ্র সিং বলেন, “কমার্শিয়াল মাইনিং করা যাবে না। কোল ইণ্ডিয়ার বেসরকারিকরণে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। সিএমপিডিআই’কে কোল ইন্ডিয়া থেকে আলাদা করা যাবে না।” সিটু নেতা বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, “কোনওভাবে দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদকে এ ভাবে বিক্রি হতে আমরা দেব না। এ জন্যই বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।” তবে ধর্মঘটের বিরোধিতায় নামবে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কেকেএসির সাধারণ সম্পাদক হরেরাম সিং বলেন, “এ রাজ্যে ধর্মঘট নামক কর্মসংস্কৃতি বন্ধ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নীতির বিরোধিতা করলেও আমরা ধর্মঘটে যাব না ও ধর্মঘটের বিরোধিতায় নামব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.