সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা? এ প্রশ্নে কাব্যিক মেজাজেই শীতকে আবাহন জানায় বাঙালি। কিন্তু গত কয়েকদিনে শীতের দাপট যে হারে চলছে, তাতে মুখে মুখে একটাই প্রশ্ন, শীতকাল কবে যাবে সুপর্ণা? তার উত্তর আপাতত মিলছে না। তবে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিল, শীতের ব্যাটিং আগামী তিন দিনেও অব্যাহত থাকবে। পারদ নামবে আরও বেশ খানিকটাই।
[ শীতের পৌষ মাস, ১০.৫ ডিগ্রিতে কলকাতায় আরও এক শীতলতম দিন ]
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের মুখে দুয়ো দিয়ে এবছর চুটিয়ে শীত পড়েছে বাংলায়। গোড়ার দিকে একটু ধরি মাছ না ছুঁই পানি ভাব ছিল। শীত পড়েওছিল বটে। আবার নাও বটে। গায়ে উলের পোশাক উঠলেই ভিতরে দরদরিয়ে ঘাম। বাঙালি তাই ঠিক করেছিল, হয় শীত আসুক, নয় যাক। মনস্কামনা পূর্ণ করে অকাতরে এসেছে শীত। হু হু করে নেমেছে পারদ। গত কয়েকদিনে শীতের কামড়ে প্রায় নাজেহাল বাঙালি। পরিস্থিতি এমনটাই যে, এখন এই শীতের হাত থেকে পরিত্রাণ খুঁজছে আমবাঙালি। কিন্তু আপাতত তা থেকে রেহাই নেই। সোমবার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিল, এখনই শীত চলে যাচ্ছে না। বরং আরও কয়েকদিন চলবে তার দাপট। আগামী তিনদিনে পারদ বেশ খানিকটা নামবে। ফলে শীতে যে শহর আরও জবুথবু হবে এমনটাই সম্ভাবনা। রবিবার ছিল ১০.৬। সপ্তাহের প্রথম দিনে আরও কিছুটা নেমে ১০.৫-এ থিতু হল আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি। আবহবিদদের ব্যাখ্যা জাঁকিয়ে শীতের জন্য যে যে অনুকূল পরিবেশ দরকার হয় তার প্রত্যেকটি এখন বজায় রয়েছে। পূর্বাভাস সত্যি হলে রেকর্ড শীতের সাক্ষী থাকবে তিলোত্তমা।
[ শীতে বেড়েই চলেছে সবজির দাম, বিপাকে মধ্যবিত্ত ]
কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও নামবে তীব্র শীত। কোনও কোনও জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার গ্রাম-মফস্বল শহর সকাল থেকে প্রায় সারাদিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। সে অবস্থা জারি থাকবেই বলে খবর হাওয়া অফিস সূত্রে। রাতের দিকে ঠান্ডা তো পড়ছেই। তবে দিনের তাপমাত্রাও বেশ নামবে বলে মনে করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কাও ঘনীভূত হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের সব জেলাগুলিতেই কোল্ড ডে চলবে। দক্ষিণবঙ্গে শীতের সে থাবা পড়বে মুর্শিদাবাদের উপর। তবে নদিয়া থেকে বর্ধমান-সর্বত্রই ঠান্ডার প্রকোপ বেশ জোরদারই থাকবে। তাপমাত্রা বেশ নামলেও দার্জিলিং এখনও বরফের মুখ দেখেনি। তবে গ্রাউন্ড ফ্রস্টের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ শিশির ঠান্ডায় জমে বরকুচিতে পরিণত হতে পারে। ফলে দুধের সাধ ঘোলে মিটতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.