মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: কেন্দ্রের নির্দেশমতো লকডাউনের তৃতীয় দফাতেই হাওড়া গ্রামীণ এলাকার চটকলগুলোতে কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের নির্দেশ, রাজ্যের চটকলগুলোতে ১৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, ১৫ শতাংশ কর্মীও আসছেন না কাজে। কোনওরকমে ইঞ্জিনের চাকা গড়াচ্ছে জুটমিলে। তবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং থেকে শুরু করে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন কর্মীরা। তাই উৎপাদন নিয়ে বেশ চিন্তিত মালিকপক্ষ।
হাওড়া এলাকায় বাউড়িয়া, চেঙ্গাঈল, ফুলেশ্বর এলাকায় মূলত জুটমিলগুলো রয়েছে। চটকল কর্তাদের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশমতো ১৫ শতাংশ শ্রমিকও মিলছে না। তাঁরা মনে করছেন, মিল চালু হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা যেহেতু পুরোপুরি বন্ধ, তাই শ্রমিকরা কাজে আসতে পারছেন না। শ্রমিকরা সাধারণত দূরদূরান্ত থেকে আসেন। বাস, ট্রেন-সহ প্রায় সবরকমের যানবাহন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন। যদিও রাজ্য প্রশাসন নিয়ন্ত্রিতভাবে যান চলাচলে অনুমতি দিয়েছে, তবুও চটকলে পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রমিকের দেখা মিলছে না। তার উপর অনেকেই এখনও করোনা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত।
জুটমিল কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে। ফলে প্রথমে তারা সিনিয়র কর্মীদের কাজে যোগদান করাতে চায়। এক জুটমিল কর্তার বক্তব্য, দেখা যাচ্ছে, কোনও বিভাগে সিনিয়র কর্মী বেশি এসে যাচ্ছেন, তো কোনও বিভাগে জুনিয়র কর্মী বেশি। এতে সমতা রক্ষা করা যাচ্ছে না। ফলে কিছু কর্মীদের কাজও দেওয়া যাচ্ছে না বলে ওই কর্তার দাবি।
এছাড়া বীরশিবপুরেও রয়েছে উলুবেড়িয়া শিল্প তালুক। বহু মানুষ এই শিল্প তালুকে কাজ করেন। লকডাউনের কারণে তা বন্ধ ছিল। সেগুলোও শুক্রবার থেকে খুলতে শুরু করেছে। বীরশিবপুরের একটি বহুজাতিক সংস্থার বিস্কুট কারখানার অধিকর্তা বলেন, ”সামাজিক দূরত্ব মেনে আমরা আমাদের কাজ শুরু করেছি। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, সে দিকেই সকলে তাকিয়ে রয়েছেন।” কবে সব স্বাভাবিক হয়ে ফের একসঙ্গে কাজ করার পরিবেশ তৈরি হবে, আবার মিলের সব ইঞ্জিনের চাকা ঘুরবে, হাসি ফুটবে শ্রমিকদের মুখে, তা জানা নেই কারও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.