রাজা দাস, বালুরঘাট: ভূগর্ভস্ত জলস্তর ক্রমশই কমছে৷ শহরগুলিতে তো বটেই, জেলার বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকাগুলিতেও জলসংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবি তুলে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা৷ বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ হয়ে পড়ে যানচলাচল৷
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের দৌলতপুরের মহম্মদপুর এবং মহাদেবপুরের কয়েকশো মহিলা এলাকার ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন৷যার জেরে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে যান চলাচল। পরে বংশীহারী থানার পুলিশ এসে অবরোধ উঠিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। জানা গিয়েছে, বংশীহারি ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় বুধবার থেকে পিএইচই-র পাইপ লাইনের জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। খরাপ্রবণ ওই ব্লকের বহু এলাকায় এমনিতেই শুকিয়ে গিয়েছে পুকুর ও জলাশয়গুলি। জলস্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েল ও কুয়ো থেকে মেলে না পানীয় জল। তাই বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা এই পিএইচই-র সরবরাহ হওয়া পানীয় জলই। সেই জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। প্রতিবাদ প্রথমে পিএইচই পাম্প স্টেশনে বিক্ষোভ দেখায় এবং পরে দৌলতপুরের ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। ঘটনাস্থলে বংশীহারির বিডিও এবং পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷
আন্দোলনকারী মহিলা সুমি কর্মকার বলেন, ‘জলের অভাবে তৃষ্ণা নিবারণ, স্নান কিছুই করা যাচ্ছে না। জামাকাপড় কাচা তো দূরের কথা। এই সমস্যা লেগেই রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে যায় হামেশাই।’ অভিযোগ আরও, এলাকায় রিজার্ভার করে দিলেও তা চালু করা হয়নি। তাই এবার স্থায়ী সমাধানের দাবি তাঁদের।বংশীহারির বিডিও শুভজিৎ দাস বলেন, বিদ্যুতের সমস্যায় পাম্পে গোলযোগ দেখা দিয়েছে। তিনি এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছেন। দ্রুত যন্ত্র মেরামত করে পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.