চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: তমলুকে নোটায় ভোট পড়েছে ১০,৫১৩। কাঁথিতে সংখ্যাটা একটু কম ৮,৬৪৪। তার মানে এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ হয়নি, এমন ভোটারের সংখ্যাটাও কম নয়। আবার সবসময় যে প্রার্থী অপছন্দ. তা নাও হতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলির কাজ বা প্রতিশ্রুতি কোনওটাই মনে ধরেনি ভোটারদের একাংশের। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দীগ্রাম, হলদিয়া, মহিষাদল, ময়না, তমলুক, কোলাঘাট, নন্দকুমার প্রায় সব বিধানসভাতেই প্রথম রাউন্ড গণনা থেকেই নোটার উপস্থিতি স্পষ্ট ছিল।
নোটায় ভোট সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পিছনে রাজনৈতিক হিংসা,সংঘর্ষকে দায়ি করেছেন অনেকেই৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “এলাকায় উন্নয়ন হলেও, শুধু তাতেই ভোটারদের মন গলেনি। কর্মসংস্থানের দাবি উঠেছে। তাছাড়া রাজনৈতিক মিথ্যাচারও অনেকে মেনে নিতে চাননি ৷ সেক্ষেত্রে কোনও দলের কোনও প্রার্থীকেই তাদের পছন্দ হয়নি৷ নোটায় ভোট দিয়েছেন তাঁরা ৷” বহিরাগত প্রার্থী, কথা বেশি কাজ কম, কেউ আবার কোনও কাজের কাজ করে দেখাতে পারেননি, কেউ আবার প্রার্থী হওয়ার লোভেই প্রার্থী এমন সমস্ত ‘ফ্যাক্টর’, ‘নোটা’ ভোট বাড়ার পিছনে কাজ করছে ৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম আগ্রহটি যদি নরেন্দ্র মোদিকে ঘিরে ঘুরপাক খেয়ে থাকে, তাহলে বেশ নিচের দিকের একটি বিষয়ও বহু মানুষের নজরে ছিল। যে মেশিনে বোতাম টিপে আমরা ভোট দিই, সেই মেশিনে একেবারে শেষের বোতামটিতে লেখা ছিল ‘নান অব দ্য অ্যাবভ’, যেগুলোর আদ্যাক্ষর মিলে সংক্ষেপে হয় ‘নোটা’। সহজ বাংলায় যা হলো ‘না’ ভোটের অধিকার। মানে, নাগরিকরা যদি ভোট দিতে গিয়ে দেখেন, যাঁরা প্রার্থী, তাঁদের দুর্দান্ত গুণাবলি সত্ত্বেও কাউকেই পছন্দ হচ্ছে না, তাহলে ওই ‘নোটা’ বোতাম টিপে তা জানিয়ে দিতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.