বাবুল হক, মালদহ: ডিসেম্বরের শেষেও দাপট কমছে না ডেঙ্গুর। এখনও মশাবাহিত রোগ কাড়ছে প্রাণ। কলকাতার হাসপাতালে প্রাণ গেল মালদহের নার্সিং ছাত্রীর। উত্তরবঙ্গ থেকে পড়তে পাঠিয়ে সন্তানহারা বাবা-মা।
কালিয়াচকের জালালপুর শেরপুরের বাসিন্দা ফারহানা বেগম। বছর একুশের তরুণীর বাবা আমিনুল ইসলাম। পেশায় ‘গ্রামীণ’ চিকিৎসক। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নার্সিং স্টুডেন্ট ছিলেন ফারহানা। প্রথম দুবছর নিউটাউনের হস্টেলে ছিলেন। এর পর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্ক সার্কাসে ক্যাম্পাসে পড়তেন। সেখানকার হস্টেলেই থাকতেন। সপ্তাহখানেক অসুস্থ ছিলেন। গত দুদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসকদের দাবি, ডেঙ্গুর কবলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে কলকাতা থেকে তাঁর দেহ মালদহে পৌঁছয়।
উল্লেখ্য, জুলাই থেকেই রাজ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়তে থাকে। পুজোর পরে যেন লাগামছাড়া সংক্রমণ শুরু হয়। ডিসেম্বরের শেষেও ডেঙ্গু যেন রোখা যাচ্ছে না। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এখনও মিলছে ডেঙ্গু রোগীর খোঁজ। স্বাস্থ্য ভবনের একটি সূত্র বলছে, পশ্চিমবঙ্গের পরেই সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় সারিতে কেরল। তৃতীয় সারিতে কর্নাটক।
তথ্য থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, রাজ্যের সংক্রমণের হার অন্তত দশগুণ বেশি।পতঙ্গবিদদের কথায়, মশা মারার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেগুলি কখনওই মানা হয় না। দ্বিতীয়ত, তেল ছিটিয়ে মশা মারা কোনও কাজের নয়। পুরসভাগুলিকে প্রথম থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকী, জল ছাড়াও মশার লার্ভা দিব্য বেঁচে বর্তে থাকে। তাই আগে কৌশল জানতে হবে। তবেই মশা নিধন সম্ভব।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.