বাবুল হক, মালদহ: স্বাধীনতা দিবসেই বসল চটুল নাচের আসর। আর চটুল নাচের আসরে উড়ল টাকা। টাকা ছড়ালেন তৃণমূলের কর্মীরাই। আবার ফ্রি়ডম অ্যাট মিড নাইটের অনুষ্ঠানে যখন এই অশ্লীল নাচ চলছে, তখন আবার মঞ্চে হাজির ছিলেন মালদহের পঞ্চায়েত সভাপতিও। মঞ্চে বসে রীতিমতো গোটা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমালোচনার মুখে পড়লেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মালদার শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি। তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
অভিযোগ, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই অশ্লীল নাচের আসর বসান শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি আনোয়ারুল হক। মঞ্চে যখন খোলামেলা পোশাকে এক তরুণী চটুল গানে কোমর দোলাচ্ছেন সেই সময় মঞ্চে বসে তাল ঠুকছেন পঞ্চায়েত সভাপতি। মঞ্চের নিচে নাচে মেতেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও। কেউ কেউ আবার মঞ্চে উঠে এসে টাকার নোট ছড়িয়েছেন। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই মাথাচারা দিয়েছে বিতর্ক। এই ঘটনার পর থেকেই পঞ্চায়েত সভাপতি আনোয়ারুল হক নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা টাকা দিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, “এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয় । স্বাধীনতা দিবস আনন্দের দিন । এই দিনে এই ধরনের চটুল নাচের আসর বসানো মেনে নেওয়া যায় না। এর তীব্র নিন্দা করছি আমি।” পাশাপাশি জেলা সভাপতিকে এই ঘটনা সম্পর্কে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি । তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, রাজ্যের সংস্কৃতি বাঁচাতে হবে। আর তাঁরই দলের সভাপতিরা চটুল নাচের আসর বসাচ্ছে। এটা তাঁদের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃণমূল নেতারা বুঝে উঠতে পারছে না তাদের অসাধু উপায়ে কামানো টাকা কীভাবে খরচা করবেন। তাই এই ধরনের চটুল নাচের আসর বসিয়ে টাকা উড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতারা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.