নন্দন দত্ত, সিউড়ি: চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিককে। অভিযোগ পেয়ে কোনওরকম তদন্ত ছাড়াই ওই শ্রমিককে ‘মারতে মারতে’ থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এরপর বাড়ি ফিরেই আত্মঘাতী হন ওই যুবক। সেই ঘটনার জেরেই ক্লোজ করা হল লোকপুর (Lokepur) থানার ওসি রমেশ সাহাকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে আরও এক অফিসারকে।
দীর্ঘদিন ধরেই গুজরাটে (Gujrat) শ্রমিকের কাজ করতেন সৌভিক গড়াই নামে বছর ২২-এর ওই যুবক। লকডাউনের জেরে গুজরাট থেকে বীরভূমের লোকপুরের রুপুসপুর গ্রামে ফেরেন তিনি। গ্রামেরই শিবারণ রায়ের মিষ্টির দোকানে কাজে যোগ দেন। শিবারণের ছেলে সজল রায়ের অভিযোগ, এরই মাঝে তাঁর কিছু নথি ও টাকা চুরি যায়। সৌভিকই তা চুরি করেছে, এমন অভিযোগও করে সে। দ্বারস্থ হয় লোকপুর থানার। সৌভিকের বাবার অভিযোগ, কোনও প্রমাণ ছাড়াই পুলিশ সৌভিককে বেধড়ক মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। টাকারও দাবি জানায়। পরে সোমবার রাতে থানা থেকে ছাড়া হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিককে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, থানা থেকে ছাড়া পেয়ে সৌভিক বাড়িতে আসার পর রাতে শিবারণবাবু ও তার দুই ছেলে সজল-কাজল গিয়ে ফের ওই যুবককে মারধর করে। এই ঘটনায় অবসাদে ভুগতে শুরু করে ওই পরিযায়ী শ্রমিক। পরে রাতেই ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মেলে সুইসাইড নোটও। এই ঘটনার তদন্তের জন্য বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ মহাপাত্রের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ক্লোজ করা হল ওসিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.