মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস। ট্রেন দূর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ার পরেও শান্তি নেই! দেহ নিয়ে চলল টানাপোড়েন। এক মৃতদেহের দুই দাবিদার। ফলে ময়নাতদন্তের পর যে পরিবারের লোকেরা দেহ কবরস্থ করতে পারবে তেমনটা নয়। আগে হবে ডিএনএ টেস্ট। এরপর মৃতদেহের প্রকত দাবিদার চিহ্নিত করে হাতে তুলে দেওয়া হবে দেহ।
মৃতের নাম জাহাঙ্গির মিদ্যে। তাঁর বাড়ি হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি মারা যান ওড়িশার ট্রেন দূর্ঘটনায়। তিনি যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন। সোমবার তাঁর মৃতদেহ বাড়িতে আসে। এদিকে সোমবারই হাওড়া জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি যায় যে, উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানা এলাকার একটি পরিবারও দাবি করেছেন, ওই মৃত ব্যক্তি তাঁদের পরিবারের। প্রশাসন মৃতদেহ উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান মৃতদেহের ডিএনএ টেস্ট করা হবে। তারপর সঠিক পরিচয় পাওয়ার পর প্রকৃত দাবিদারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, হাওড়ার গোবিন্দপুরের ওই পরিবার পোশাক দেখে দেহ শনাক্ত করেছিলেন। কিন্তু পরে ওড়িশা সরকারের প্রকাশ করা ছবি দেখে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বাসিন্দারা মনে করেন, দেহটি তাঁদের পরিবারের ছেলের। তাই তাঁরা ওড়িষ্যা প্রশাসনের কাছে দেহ চেয়ে আবেদন করেন। তখনই জানা যায়, হাওড়ার একটি পরিবার ওই মৃত দেহ নিয়ে গিয়েছে। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে বার্তা পাঠানো হয়। মৃত জাহাঙ্গির মিদ্দার ভাই তহিদ মিদ্দা জানান, ভাইয়ের মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসার সময় কোলাঘাটের কাছে প্রশাসন আমাদের অ্যাম্বুল্যান্স আটকায়। আমাদের জানানো হয়, এই মৃতদেহের আরও একটি পরিবার দাবি জানিয়েছে। মৃতদেহ কোলাঘট থেকে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.