নন্দন দত্ত, সিউড়ি: শিক্ষকের বাড়িতে বেআইনি মদের ভাণ্ডার। অভিযান চালাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার রামপুরহাট মহকুমা দপ্তরের আবগারি আধিকারিক। ভাঙচুর করা হল সরকারি গাড়ি। শিক্ষককে না পেয়ে তার ভাইকেই আটক করা হয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা ধৃতকে ছাড়িয়ে নেন। তাকে ছেড়ে নিজে মুক্তি পান আবগারি আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট থানার কাষ্ঠগড়া গ্রামে।
ওই গ্রামের স্কুলের পাশে বাড়ি প্রাথমিক শিক্ষক সুবোধ কুমার সাহার। তার ভাই প্রবোধ কুমার সাহা গ্রামের স্কুলে চাকরি করেন। পুলিশের কাছে খবর ছিল সুবোধ মণ্ডলের বাড়িতে বেআইনি মদ মজুত আছে। সেই সূত্রে তার বাড়িতে অভিযান চালায় আবগারি দপ্তর। সেখান থেকে ৩৯ পেটিতে ৭৮০ বোতল দেশি মদ উদ্ধার করেন রামপুরহাট মহকুমা আবগারি আধিকারিক সুহৃদ রায়। মদ উদ্ধারের সময় প্রবোধ সাহা সরকারি কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ। তাকে কেন্দ্র করে আবগারি আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর আবগারি আধিকারিক তাকে আটক করে গাড়িতে তোলেন। আটক করতেই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে সাধারণ মানুষ। তারা আবগারি আধিকারিককে হেনস্তার পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুর করে। সুযোগ বুঝে ভাঙা কাঁচের জানলার ফাঁক দিয়ে প্রবোধ বেরিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর ফের তাকে আটক করে আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা।
প্রবোধবাবুকে আটক করতেই গ্রামবাসীরা সুহৃদবাবুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি সুবোধবাবুকে না ছাড়া পর্যন্ত সুহৃদবাবুও আটক থাকবেন। এরপর গোয়ালা গ্রামের কাছে প্রবোধবাবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি গ্রামে ফেরার পর ছাড়া হয় আবগারি আধিকারিককে। প্রবোধবাবু বলেন, “দাদার একটা মদের দোকান রয়েছে রোদিপুর গ্রামে। সেই দোকানের জন্য এখানে মদ মজুত রাখা হয়েছিল। এখান থেকে কোন দিন মদ বিক্রি হত না। আবগারি আধিকারিক অন্যায়ভাবে মদ তুলে নিয়ে গেল।” জেলা আবগারি আধিকারিক বাসুদেব সরকার বলেন, “আমরা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছি। সরকারি কাজে আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা সে জন্য আইনের সাহায্য নেব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.