দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ক্যানসার আক্রান্ত ভাড়াটে বৃদ্ধাকে বেধকর মারধর করার অভিযোগ উঠল বাড়িওয়ালা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বৃদ্ধার নাম সরস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীরামপুরের এনএস অ্যাভিনিউতে। বাড়িওয়ালার দাবি, আইনি নোটিসেই উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়েছে৷ যদিও তা মানতে নারাজ এলাকাবাসী৷ এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁরা৷
[অভাবের স্মৃতি টাটকা, দুঃস্থ পড়ুয়াদের দু’মাসের বেতন দান শিক্ষকের]
স্থানীয় খবর, ক্যানসার আক্রান্ত বৃদ্ধা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ভাড়া রয়েছেন ওই বাড়িতে। এক বছর আগে তাঁর ছেলেও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷ এরপর থেকে বৃদ্ধা একাই থাকতেন বাড়িতে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃদ্ধার একা থাকার সুযোগে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে উচ্ছেদ করতে তৎপর হয়েছে বাড়িওয়ালা৷ কিন্তু প্রথমে এলাকাবাসী বাধা দেওয়ায় তা সম্ভবপর হয়নি৷ তবে বুধবার সকালে আবারও বৃদ্ধাকে উচ্ছেদ করতে যান বাড়িওয়ালা৷ তখনই তাঁকে মারধর করে বাড়িওয়ালা ও তাঁর স্ত্রী রীতা ঘোষ৷ ঘর থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় তাঁর সমস্ত আসবাবপত্র। অভিযোগ, বাড়িওয়ালা ও তার স্ত্রীর অত্যাচারের মুখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বৃদ্ধা৷ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয় শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে৷
[ঘরে আরও পাঁচ সন্তান, সদ্যোজাত কন্যাকে ঝোঁপে ফেলে চম্পট মা-বাবা]
ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়৷ ঘটনার প্রতিবাদ করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা৷ তাঁদের অভিযোগ, বিনা নোটিসে বৃদ্ধাকে উচ্ছেদ করতে গিয়েছেন বাড়িওয়ালা৷ ঘটনার নিন্দা করেন শ্রীরামপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক শান্তনু চট্টোপাধ্যায়৷ যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাড়িওয়ালার স্ত্রী৷ তাঁর দাবি, তাঁদের কাছে বৈধ আইনি নোটিস রয়েছে৷ ওই বৃদ্ধা আদতে তাঁদের ভাড়াটেই নন। আসল ভাড়াটে অনেক আগেই বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। তিনি পালটা অভিযোগ করেন, তাঁদের ছোট মেয়ে দময়ন্তীকে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করেছে। জানা গিয়েছে, দু’পক্ষের কেউই সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। যদিও স্বতঃপ্রনদিত তদন্ত শুরু করেছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ বাড়িওয়ালার প্রতি খেপে রয়েছেন এলাকাবাসী৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.