প্রতীকী ছবি।
ধীমান রায়, কাটোয়া: ঘরের বউয়ের উপর থেকে মন উঠেছিল আগেই। অন্য একটি মেয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের যুবক। কিন্তু সেই সম্পর্কে ‘কাঁটা’ ছিলেন স্ত্রী। রাস্তা পরিস্কার করতে এবার সেই স্ত্রীকেই ‘খুন করে ঝুলিয়ে দিল’ স্বামী। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ মৃত মহিলার পরিবারের। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভাতার এলাকায়।
ভাতার থানার বলগোনা এলাকায় বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। শম্পা খাতুন (২০) নামে ওই বধূর দেহ রবিবার বিকেল নাগাদ শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে শম্পাকে খুন করা হয়েছে। সোমবার শম্পার বাবা মীর হাসমত শেখ ভাতার থানায় মৃতার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা মীরের একমাত্র মেয়ে শম্পার সঙ্গে বছর চারেক আগে বলগোনার বাসিন্দা মজনু শেখের ছেলে শেখ ইসমাইলের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দেড় বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। শম্পার বাবার অভিযোগ, “আমাদের জামাই ইসমাইল অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়ের ভবিষ্যতে সুখের আশায় তা নিয়ে মাস চারেক আগে পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও আমার মেয়ের উপর নির্যাতন চালান হত। আমাদের ধারনা, ওই অবৈধ সম্পর্কের জেরেই আমার মেয়েকে মেরে দেওয়া হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে প্রতিবেশীদের একজন মল্লিকপুর গ্রামে ফোন করে শম্পার মৃত্যুর খবর জানায়। তারপর মল্লিকপুর গ্রাম থেকে মৃতার আত্মীয়স্বজন এসে মৃতদেহ দেখতে পান। পরে গ্রামের কিছু লোকজন আসেন ভাতার থানায়। স্থানীয়রা ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.