বাবুল হক, মালদহ: অবশেষে মালদহে তরুণীকে পুড়িয়ে খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। মৃতার প্রেমিক ও তার স্ত্রীকে আটক করা হলে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই শ্বাসরোধ করে ওই তরুণীকে খুন করে প্রেমিক। এরপর প্রমাণ লোপাটে পুড়িয়ে দেওয়া হয় দেহ। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতার প্রেমিককে।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে প্রায় দু’বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মালদহের ছোটন ঘোষের। একাধিকবার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে মালদহে আসেন ওই তরুণী। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু রাজি হচ্ছিল না ছোটন। এরপর চলতি মাসের ২ তারিখ মালদহে আসেন ওই তরুণী। ছোটন মালদহ টাউন স্টেশন থেকে তাঁকে নিয়ে আসে। এর তিন দিনের মাথায় উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ। পুলিশ সূত্রের খবর, তরুণীর কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন ছোটনের স্ত্রী। অশান্তি শুরু হয়েছিল পরিবারে। একদিকে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি। অন্যদিকে, প্রেমিকার বিয়ের চাপ। দুইয়ের মাঝে পড়ে প্রেমিকাকে খুনের ছক কষে ছোটন। ৫ তারিখ শ্বাসরোধ করে তরুণীকে খুন করে ছোটন। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয় দেহ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত ছোটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আগামিকাল তাকে আদালতে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহের কোতোয়ালি থানা এলাকার ধানতলা আমবাগান থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণীর নগ্ন দগ্ধ দেহ। ঘটনার পরই তরুণীর খোঁজে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরিবারের সন্ধান পেতে তরুণীর দেহে থাকা গয়নার ছবি বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ করেছিল পুলিশ। সেই ছবি দেখেই মালদহ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা এক মহিলা। জানা গিয়েছে, শিলিগুলির অম্বিকানগরের বাসিন্দা মৃতা তরুণী। মৃতার মা জানান, চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন মৃতা। তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলে ওই মহিলা জানতে পেরেছিলেন যে, মেয়ে ছোটোন ঘোষ নামে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে মালদহে গিয়েছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ছোটন, তার স্ত্রী-সহ ৪ জনকে আটক করেছিল পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.