চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: রাতে আচমকাই গুলির শব্দ। আসানসোলের কুলটির চিনাকুড়ি দু’নম্বর এলাকা থেকে একটি রক্তমাখা বাইক উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে প্রায় তিন কিমি দূরে হীরাপুরের জঙ্গলে মিলল বাইক আরোহীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জঙ্গলের ভিতর একটি পরিত্যক্ত খাদানে পড়েছিল মৃতদেহটি। মৃত ব্যক্তির দুটি হাত-পা এমনকী, চোখও উপড়ে নিয়েছে আততায়ীরা। কিন্তু কী কারণে এমন নৃশংসভাবে খুন? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[ পুলিশ হেফাজত থেকে পলাতক বন্দি, শোরগোল বর্ধমানে]
মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় পাসোয়ান ওরফে চুহা। বিদ্যুৎ দপ্তরের ঠিকা শ্রমিক ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে কুলটির চিনাকুড়িতে গব্বর নামে এক যুবক খুন হন। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সঞ্জয়ের। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার রাত ন’টা নাগাদ কুলটির চিনাকুড়ি দু’নম্বর এলাকায় ইসিএলের গেস্ট হাউসের দিক থেকে গুলির শব্দ শুনতে পান তাঁরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, একটি রক্তমাখা মোটরবাইক পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশও। কিন্তু, রাতভর তল্লাশি চালিয়েও সঞ্জয় পাসোয়ানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে হীরাপুর থানার বিনোদ বাঁধ লাগোয়া জঙ্গলে একটি পরিত্যক্ত খাদান থেকে সঞ্জয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জায়গাটি কুলটির চিনাকুড়ি দু’নম্বর এলাকা থেকে প্রায় তিন কিমি দূরে। গত বছরের অক্টোবর মাসে সীতারামপুরের মুজরাপট্টিতে গুলি করে এক যুবককে অপহরণের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। শেষপর্যন্ত অবশ্য স্থানীয়দের তৎপরতায় দুষ্কৃতীরা ধরে পড়ে যায়। সেই ঘটনায় সঙ্গে কুলটির ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই।
কিন্তু সঞ্জয় পাসোয়ানকে কেন খুন করা হল? গব্বরের খুনের সঙ্গে কি এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক আছে নাকি খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা গুলির শব্দ পেলেও, মৃতদেহের পাশে কোনও গুলির খোল পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
[প্রকল্পের ছাড়পত্র পায়নি সোলারিস কর্তৃপক্ষ, তবুও ফর্ম বিক্রি শুরু]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.