সুপর্ণা মজুমদার: সপ্তাহান্তে ফের রেল দুর্ভোগ। ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার রাতে অবরোধ হল দুর্গানগরে। যার ধাক্কায় শিয়ালদহ-বনগাঁ এবং শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার যাত্রীরা বিপাকে পড়েন।
[মহিলা কামরা বাড়ানোর প্রতিবাদ, এবার কাঁচরাপাড়ায় রেল অবরোধ]
শনিবার পৌনে আটটায় শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে যায় আপ হাসনাবাদ গ্যালপিন লোকাল। ট্রেনটি দুর্গানগরে দাঁড়ায় না। স্টেশনে ঢোকার আগে থ্রু ট্রেনটি দ্রুত গতিতে এগোতে থাকে। স্টেশনের পাশেই রয়েছে রেলগেট। এমন সময় গেট পেরোচ্ছিলেন এক যুবতী। ট্রেনের সামনে তিনি পড়ে যান। ট্রেনের ধাক্কায় বছর তিরিশের ওই মহিলা ছিটকে গিয়ে আরও দুজনের উপর পড়েন। ঘটনাস্থলে মারা যান এক যুবক। জখম হন বাকি দু’জন। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার লোকজন রেল লাইনে বসে পড়েন। সোওয়া আটটা থেকে চলা অবরোধেরে জেরে বন্ধ হয়ে যায় আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল। যার জেরে বনগাঁ এবং হাসনাবাদ শাখার ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বিরাটি, মধ্যমগ্রাম স্টেশনে পরপর দাঁড়িয়ে পড়ে। বাড়ি ফিরতে গিয়ে বিপদে পড়েন যাত্রীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ দুর্গানগর স্টেশনে কোনওরকম ঘোষণার ব্যবস্থা নেই। তার ফলে ট্রেন এসে গেলে যাত্রী বা সাধারণ মানুষ বেকয়াদায় পড়েন। থ্রু বা গ্যালপিন ট্রেন গেলে সমস্যা আরও বাড়ে। স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁক থাকায় ট্রেন দেখতে পান না তাঁরা। এইসব কারণে অকালে একটি প্রাণ ঝরে গেল বলে মনে করেন স্থানীয়রা। এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে অবরোধ এবং সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি। এটা আদৌ কি যুক্তিযুক্ত। এর অবশ্য উত্তর মেলেনি।
[দু’টি কিডনি বিকল, মানসিক অবসাদে ট্রেনের সামনে মরণঝাঁপ রোগীর]
পরিস্থিতি সামলাতে বারাসত এবং দমদম থেকে রেল পুলিশের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। অবরোধকারীদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। তাতে অবশ্য তেমন কাজ হয়নি। চলতি সপ্তাহে ট্রেনে বাড়তি মহিলা কামরার প্রতিবাদে ক্যানিং শাখার তালদি এবং মেন লাইনের কাঁচরাপাড়ায় রেল অবরোধ হয়। টানা তিন দিন অবরোধে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। রেলের বিরুদ্ধে পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলেও তাতে কাজের কাজ যে কিছুই হয়নি এধরনের ঘটনায় তা পরিষ্কার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.