অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ফের করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল খড়গপুর শহরে। আক্রান্ত যুবতী খড়গপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটো আয়মা এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে তিনি খড়গপুর রেলওয়ে মেইন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে খড়গপুরে কর্মরত দিল্লি ফেরত সাত আরপিএফ জওয়ানের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল। চিকিৎসার পর অবশ্য এখন তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে এই যুবতীর জ্বর ও কাশি হচ্ছিল। প্রথমদিকে ওষুধ কিনে খাচ্ছিলেন। কিন্তু জ্বর না কমায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বুধবার সকালে খড়গপুর রেলওয়ে মেইন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে যুবতীকে সাধারণ ওয়ার্ডে ভরতি করে চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু জ্বর না কমায় সেইদিন যুবতীকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়। তারপর তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে সেই রিপোর্ট আসে। জানা গিয়েছে, তিনি করোনা আক্রান্ত। এই ব্যাপারে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, খড়গপুর শহরের ছোটো আয়মা এলাকায় এক যুবতীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে যুবতীর করোনা আক্রান্তের খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই শনিবার সকাল থেকে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। প্রথমেই পুলিশ যুবতীর রেলকর্মী বাবাকে কর্মস্থল খড়গপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপে ঢোকার আগে গেটে আটকানো হয়। তারপর যুবতীর পরিবার, বাড়ির মালিকের পরিবার, যুবতীর পিসির পরিবার ও যুবতীর বাবার আট সহকর্মীকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গোটা এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সকাল থেকে এলাকার প্রতিটি বাড়িতে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে গত ২০ মার্চে যুবতীর এক দাদা বিশাখাপত্তনম থেকে ফিরেছেন। আর এই যুবতীর রেলনগরী খড়গপুরের মথুরাকাটি এলাকায় পিসির বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। পিসির বাড়ি থেকে ফেরার পরেই যুবতীর জ্বর আসে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.