রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: লকডাউনে হোম কোয়ারেন্টাইন জীবনে একঘেয়েমি, বিষাদ ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে। আর এই গৃহবন্দি থেকে সবথেকে অসুবিধে হচ্ছে বাড়ির কচিকাঁচাগুলোর। স্কুল ছুটি। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যেমন দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ, তেমনি বাইরেও খেলতে যাওয়া মানা। এমতাবস্থায় অনেকেই হাঁপিয়ে উঠছে বাড়িতে। কী করণীয়? সেই ভাবনা থেকেই বাচ্চাদের জন্য অনলাইন অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
মারণ ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি পেতে, চিকিৎসকদের পরামর্শ-সহ সরকারী নানা নিয়ম ও বিধিনেষধের কথা রং তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠছে খুদেদের ভাবনায়। ‘ঘরে বসে টাইমপাস, দূর হঠাও করোনাভাইরাস’ এমনই ভাবনা ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের সংকেত নামক ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। তাদের উদ্যোগেই এই কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। ঘরে বসে আঁকা এই অনলাইন প্রতিযোগিতার অঙ্কন বিষয়বস্তু ছিল করোনা নিয়ে সতর্কতা। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের করোনা বিষয়ক ভাবনার উপর ছবি বা পোস্টার এঁকে নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠানোর আহ্বান করা হয়েছিল। তবে এই প্রতিযোগিতার একটি অভিনব নিয়ম রয়েছে। ছবি এঁকে নিজের বাড়ির বাইরের দেওয়ালে লাগাতে হবে এবং প্রত্যেক প্রতিযোগীকেই নিজের আঁকা ছবির পাশে দাঁড়িয়ে ফটো তুলে পাঠাতে হবে।
লকডাউনের দ্বিতীয় পর্বে অর্থাৎ গত ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগীতা। এখনও পর্যন্ত ২৩০টি ছবি জমা পড়েছে। প্রত্যেকদিন ৬ জন করে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হচ্ছে। এছাড়াও যারাই অংশ নেবে, তাদের স্মারক উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হবে বলে সংস্থার তরফে জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ দাস। উল্লেখ্য, এই সংস্থার আয়োজনে লকডাউনের প্রথম পর্বে করোনাভাইরাস সচেতনতা বিষয়ক ৪ লাইনের ছড়া প্রতিযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও ভিন রাজ্য থেকে প্রায় ৪৫০ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। পুরস্কারের জন্য ৪৫ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে যে, স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ী প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.