প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে ঢুকে অ্যাসিট্যান্ট সুপারকে খুনের হুমকি! এবার এমন অভিযোগ উঠল ক্যানিং হাসপাতালে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়েছেন ‘আতঙ্কিত’ অ্যাসিট্যান্ট সুপার। জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হবে। তাঁর প্রশ্ন, এভাবে কাজ করব কীভাবে?
ক্যানিং হাসপাতালের অ্যাসিসট্যান্ট সুপার ডা. সৌরভকুমার দাস চিঠিতে লিখেছেন, সোমবার সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং মহকুমা হাসপাতালের বহু চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বলা হয়, কোনও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বা নিরাপত্তারক্ষী কাজে না এলেও হাজিরা খাতায় তা দেখানো যাবে না। একজনের ডিউটি অন্য করলেও, না দেখাতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। এমনকী, তাঁদের কাজের ‘রস্টারে’ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না হাসপাতালের অ্যাসিসট্যান্ট সুপার। কার্যত ‘চোখ বন্ধ’ করে বেতনের বিলে স্বাক্ষর করতে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, রোগীর প্রয়োজন না হলেও ওয়ার্ডে আয়া ঢুকতে দেওয়ার দাবিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ জানিয়েছেন ডা. সৌরভ। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া আয়া রাখার অনুমতি দেয় না। শুধুমাত্র রোগীর পরিবার হাসপাতাল সুপার বা কর্তব্যরত চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে আয়া রাখতে পারেন।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে লেখা চিঠিতে ওই চিকিৎসকের স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমারও পরিবার আছে। এই অবস্থায় ডিউটি করতে নিরাপদ বোধ করছি না। এমন পরিস্থিতিতে সৎভাবে কাজ করতে কী করণীয় আমাকে জানান?” তাঁর দাবি, এরকম চলতে থাকলে হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জিও জানিয়েছেন ডা. সৌরভকুমার দাস।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই, চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, সেই ‘থ্রেট কালচার’ চলছেই। দিন কয়েক আগে দিনহাটা হাসপাতালেও চিকিৎসকগের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার তারই পুনরাবৃত্তি হল ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.