কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: জন্মের পর সন্তানের হাত পায়ের অবস্থা দেখে বাবা-মা নাম রেখেছিলেন জগন্নাথ। সেই জগন্নাথ প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও এখন বৃদ্ধ বাবার একমাত্র ভরসা। প্রতিবন্ধী সন্তান ঝাঁটা বানিয়ে, পাখা বানিয়ে রোজগার করে পরিবার টানছেন। নিজে প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও বৃদ্ধ বাবার কপালে জোটেনি বার্ধক্য ভাতা। ফলে বাবার ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন বেলডাঙা ব্লকের রামনগরের জগন্নাথ মণ্ডল।
[দেশের জন্য নেতাজির ভূমিকাকে আড়াল করা হয়েছে, কেন্দ্রকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর]
বেলডাঙ্গা ২ নং ব্লকের রামনগর বাছরা গ্রাম পঞ্চায়েতের চকপাড়া গ্রামে দীর্ঘ বছর ধরে বাস করছেন বিশ্বম্ভর মণ্ডল। তিন সন্তানের মধ্যে মেজ জগন্নাথ। দুই সন্তান বিয়ের পর আলাদা সংসার পাতেন। বর্তমানে বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে জগন্নাথের সংসার। সরু সরু দু’টি হাতের আঙুল নেই। পা দুটিও সরু সরু হওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াতে পারেন না জগন্নাথ। তবুও মায়ের মৃত্যুর পর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিবন্ধী জগন্নাথ মণ্ডল। এদিন তিনি বলেন ঝাড়ু বানিয়ে দশ টাকা করে পান। গরমের সময় হাত পাখা বানান। নিজেই কোনরকমে রান্না করে বাবাকে খাওয়ান। তবে সরকারী ভাতা বাবদ মাসে এক হাজার টাকা তিনি পান। যদিও বৃদ্ধ বাবা এখনও বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না বলে আক্ষেপ তাঁর গলায়। জগন্নাথ জানান, এতদিন সাইকেল (প্রতিবন্ধীদের ত্রিচক্রি যান) ছিল না বলে বাড়িতে কুয়ো ব্যাঙের মত বসে থাকতে হত। বিডিও অফিস থেকে সাইকেল পেয়ে এখন পাড়ায় একটু বেড়াতে যেতে পারেন। তবে বাবার শরীর খারাপ, তাই আপাতত বেড়ানও বন্ধ। বৃদ্ধ বাবার চিকিৎসার জন্য অর্থ তাঁর কাছে নেই।
অন্যদিকে বেলডাঙ্গা ২ নং ব্লকের বিডিও সমীর রঞ্জন মান্না জানিয়েছেন, জগন্নাথ মণ্ডলের দুর্দশার কথা তিনি জানেন। তাঁকে মানবিক ভাতা হিসেবে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে তাঁর বাবা বার্ধক্য ভাতা এখনও পাননি। বিশ্বম্ভর মণ্ডল নামে ওই বৃদ্ধ যাতে বার্ধক্য ভাতা পান তাঁর চেষ্টা তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন বিডিও।
[অসুস্থ জেটলি, অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বে পীযূষ গোয়েল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.