ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতভর বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। হাজিপুর পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল (TMC) সদস্যের বাড়ি লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান। তাণ্ডবের ঘটনায় কাঠগড়ায় কংগ্রেস। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারির দাবিতে ভোরে ঘণ্টা দুয়েক অবরুদ্ধ করে রাখা হয় হাড়োয়া-বেড়াচাপা রোড। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পলাতক দুষ্কৃতীরা।
দেগঙ্গার হাজিপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মহম্মদ কামালউদ্দিন মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ আচমকাই তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি (Bombing) শুরু হয়। কামালউদ্দিন জানাচ্ছেন, তাঁর বাড়িতে ১০দিনের এক শিশু রয়েছে। বোমার তীব্র শব্দে সেই শিশুর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই শিশুর মাও। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ভরতি করাতে হয়েছে। শুধু এটুকুই নয়, বোমাবাজির পাশাপাশি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ভোর পর্যন্ত চলে দুষ্কৃতীদের এই তাণ্ডব। পঞ্চায়েত সদস্য কামালউদ্দিনের অভিযোগ, তাণ্ডবের নেপথ্যে রয়েছে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দেগঙ্গা থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
রাতভর এলাকায় এমন অশান্তির পর সকাল থেকে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারির দাবিতে হাড়োয়া-বেড়াচাপা রোড অবরোধ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে তা অবরুদ্ধ করে দেন। টানা দু ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এর আগেও মহঃ কামালউদ্দিনকে টার্গেট করেছিল। যারা এই কাজে যুক্ত, তিনি তাদের সকলকে চেনেন। দেখামাত্রই শনাক্ত করতে পারবেন বলে দাবি। তাই পুলিশের কাছে তাঁর আরজি, দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে আইন মেনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। রাতে এই ঘটনার জেরে সকালেও থমথমে দেগঙ্গার ওই এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.