স্টাফ রিপোর্টার: মুখে সিপিএম নেতারা যাই দাবি করুন না কেন, পঞ্চায়েত ভোটের দিন সিংহভাগ বুথে কর্মী রাখার মতো সাংগঠনিক শক্তি পার্টির রয়েছে কি না তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে আলিমুদ্দিনের। আর তাই কোনও বুথে কর্মী না পাওয়া গেলে স্থানীয় নেতাদেরই বুথে বসতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটে যে সব এলাকায় দলের প্রার্থী রয়েছে সেখানে বুথে এজেন্ট বসানোর ক্ষেত্রে এমনই নির্দেশ দিল আলিমুদ্দিন। জানিয়ে দেওয়া হল সব বুথে এজেন্ট চাই, লোক না পাওয়া গেলে এরিয়া কমিটির নেতাদেরই এজেন্ট হয়ে বসতে হবে। ফাঁকা রাখা যাবে না বুথ।
সাধারণত দেখা যায় পার্টির জেলা কমিটি বা এরিয়া কমিটির সদস্যরা ভোটের দিন পার্টি অফিস থেকে বা ক্যাম্প অফিস থেকে ভোটের কাজ পরিচালনা করেন। সিপিএম (CPIM) যখন ক্ষমতায় ছিল, পার্টি অফিস থেকেই মেশিনারি পরিচালনা করতেন নেতারা। কিন্তু রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সংগঠন একেবারে তলানিতে চলে যায়। বহু জায়গাতে লাল ঝান্ডা ধরার লোকও ছিল না। একুশের বিধানসভা ভোটেও বামেরা শূন্য। তারপর অবশ্য গত এক বছরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে সিপিএম।
নেতাদের দাবি, পঞ্চায়েতে মানুষের সাড়া মিলছে। কিন্তু পার্টির একাংশের কথায়, বহু বুথেই সংগঠন এখনও তলানিতে। ভোটের দিন (Panchayat Election) একাধিক বুথে এজেন্ট দেওয়া যাবে না। তাই আলিমুদ্দিনের নির্দেশ, পর্যাপ্ত কর্মী না থাকলে শাখা ও এরিয়া কমিটির নেতাদেরই বুথ গিয়ে এজেন্টের দায়িত্ব সামলাতে হবে। পার্টি অফিসে বসে থাকলে চলবে না। পার্টি সূত্রে খবর, বহু জায়গায় এখনও পর্যন্ত স্থায়ী বুথ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সিপিএমের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘পার্টির সভা—সমাবেশে মাঠে—ময়দানে ভিড় হচ্ছে। কিন্তু ভোটের দিন বুথে লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। দল রাজ্য থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই অভিজ্ঞতা বারে বারে হয়েছে।’’ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম দাবি করেছেন, ‘‘সব বুথে বামেদের পোলিং এজেন্ট থাকবে।’’ সেলিমের আরও দাবি, ‘‘আমাদের প্রতি যাঁরা অভিমান করেছিলেন। দূরে সরে গিয়েছিলেন আমাদের ভুলের জন্য। তাঁরা ফিরে আসছেন।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.