দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ক্যানিংয়ে তৃণমূল বুথ সভাপতি নান্টু গাজি হত্যাকাণ্ডে জারি ধরপাকড়। এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হল রমজান গাজি, সায়েম গাজি ও রশিদ জমাদার। শনিবার সন্ধেয় তাদের আটক করে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বয়ানে অসংগতি থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের রবিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
নিহত নান্টু গাজি ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪২ নম্বর গাজিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি। বছর বিয়াল্লিশের নান্টু শুক্রবার বিকেলে সাতমুখী বাজারে গিয়েছিলেন। রাত নটার সময় বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তেঁতুলতলা এলাকায় ১০-১২ জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। সাহিনা গাজী নামে এক মহিলাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে বলে অভিযোগ। পরে জখমদের রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।
রাত বাড়লেও বাড়ি না ফেরায় ওই বুথ সভাপতির পরিবারের লোকজন তাঁর খোঁজ শুরু করেন। রাত দুটো নাগাদ তেঁতুলতলা গাজিপাড়া এলাকায় রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ওই দুই জখমকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতির হাত, পিঠে, গলা-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গভীর ক্ষত ছিল। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। কলকাতার হাসপাতালে ভরতির পরেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণ যায় নান্টুর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.