সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনোনয়নের শেষ দিনে প্রায় নজিরবিহীন সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে ভাঙড় (Bhangar)। তিন-তিনটি প্রাণ ঝরে গিয়েছে। গন্ডগোল, গোলাগুলি, বোমাবাজির মাঝে পড়ে দুই তৃণমূল কর্মী ও একজন আইএসএফ কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। বৃহস্পতিবারের পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও স্থানীয়রা ত্রস্ত। মুখ বাঁধা, হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করা দুষ্কৃতীদের ছায়া যেন এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে চারপাশে। ভাঙড়ে কে এমন অশান্তি বাঁধাল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতি মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এবার অশান্তির দায় যৌথভাবে বিজেপি-আইএসএফের উপর চাপালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কাকদ্বীপের ইন্দিরা ময়দানে নবজোয়ার কর্মসূচির সমাপ্তি সভা থেকে তাঁর অভিযোগ, বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে ওখানে আইএসএফ অশান্তি বাঁধিয়েছে। তার পালটা জবাব দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsas Siddique)।
৬০ দিন পর শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। কাকদ্বীপে সেই সমাপ্তি মঞ্চে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি ভাঙড়ে মনোনয়ন পর্বে অশান্তি নিয়ে সরব হন। সরাসরি আইএসএফকেই (ISF) দায়ী করেন হিংসা, অশান্তির জন্য। তবে একা আইএসএফ নয়, বিজেপিকেও (BJP) তিনি নিশানা করলেন। মমতার অভিযোগ, ”ভাঙড়ে অশান্তির জন্য তৃণমূল দায়ী নয়। ওখানে আইএসএফ সন্ত্রাস করেছে। বিজেপির থেকে টাকা পেয়ে আইএসএফই অশান্তি বাঁধিয়েছে। এই জায়গা ছাড়া রাজ্যের সর্বত্র এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন হয়নি এর আগে।”
তৃণমূল সুপ্রিমোকে এর পালটায় আক্রমণাত্মক জবাব দিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকিও। তাঁর কথায়, ”আমি ওঁর সঙ্গে নবান্নে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দেখা পাইনি। উনি আমাকে সময় দিতে পারেননি। অথচ বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে ডেকে মালা পরানোর সময় আছে। এতেই বুঝুন, বিজেপির সঙ্গে কার সখ্য বেশি। আর তাছাড়া আমাদের সঙ্গে বিজেপির যোগের কথা যে বলছেন, আমাকে গ্রেপ্তারির সময় তো আমার মোবাইল ফোনটা পুলিশ নিয়ে নিয়েছিল। কিছু কি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.