রাজা দাস, বালুরঘাট: তৃণমূলের প্রার্থীপদে চমক। দণ্ডি কাণ্ডে শিরোনামে আসা আদিবাসী গৃহবধূ শিউলি মার্ডিই এবার লড়াই করছেন তপন পঞ্চায়েত সমিতির আসনে। পুরনো ঘটনা ভুলে এলাকার উন্নয়নই লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন শিউলি।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট, তপন, হিলি, কুমারগঞ্জ, গঙ্গারামপুর, বংশীহারী, হরিরামপুর এবং কুশমণ্ডি মিলিয়ে রয়েছে ৮টি পঞ্চায়েত সমিতি। সেখানে মোট আসন ১৮৯টি। তবে তপন পঞ্চায়েত সমিতির আসনের জন্য এবার চণ্ডীপুর এলাকা থেকে প্রার্থী হয়েছেন শিউলি। তাঁর আসনটি তফসিলি উপজাতিভুক্ত মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
তাঁর বিপরীতে এবার বিজেপির প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন (WB Panchayat Vote 2023) জমা করেছেন সোনামণি মুর্মু এবং বামদল আরএসপি প্রার্থী সালনি হেমব্রম। এদিকে, জয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত শিউলি মার্ডি। জানান, “দণ্ডির মতো পুরনো ঘটনা ভুলে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এলাকায় আরও উন্নয়ন আমার লক্ষ্য। ২০১৩ সালে আমার স্বামী এই ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রধান হন। অনেক উন্নয়ন করেছিলেন। তাঁর দেখানো পথেই এগোতে চাই আমি।”
গত এপ্রিল মাসের শুরুতে বিজেপিতে গিয়েছিলেন গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিউলি মার্ডি, মার্টিনা কিস্কু-সহ বেশ কয়েকজন মহিলা। পরেরদিন তাঁরা ফের তৃণমূলে যোগ দেন। তৎকালীন মহিলা তৃণমূল জেলা সভাপতির প্ররোচনায় এই তিন মহিলা রাস্তায় দণ্ডি কাটেন প্রায়শ্চিত্ত করতে। তা নিয়ে সরগরম হয় বঙ্গ রাজনীতি।
আসরে নামে বিজেপি-সহ বেশ কয়েকটি আদিবাসী সংগঠন। সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। পরবর্তীতে জেলায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই তিন মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। অভিযুক্ত মহিলা নেত্রীকে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তিন আদিবাসী মহিলাদের মধ্যে একজন মনোনয়ন জমা দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর চর্চা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.