সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাথরপ্রতিমা বাজি বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ৮। এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হল সুতপা বণিকের। এদিকে বিস্ফোরণের পর গোটা রাত পেরিয়ে গেলেও এখনও আতঙ্কে কাঁটা এলাকার বাসিন্দারা। সকলেরই দাবি, জনবসতির মাঝে বাজি কারখানা নিয়ে বহুবার আপত্তি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতে কেউ কর্ণপাত করেনি। এদিকে ইতিমধ্যেই বাজি কারখানার মালিক দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ ৭ টি ধারায় মামলা করেছে পুলিশ।
দিন কয়েকের মধ্যে এলাকায় বাসন্তী পুজো রয়েছে। সেই উপলক্ষে সোমবার রাতে পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রকান্ত বণিকের বাড়িতে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। রাত ন’টা নাগাদ আচমকাই বাজির স্তূপে আগুন ধরে যায়। তা থেকেই বিপত্তি। জানা গিয়েছে, বাড়িতে একাধিক গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। আগুনের তাপে সেগুলি ফাটতে শুরু করে। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা বাড়ি। বাজি তৈরির সময় বাড়ির শিশুরা ঘুমোচ্ছিল। মহিলারাও তাদের সঙ্গেই ছিল। আচমকা বিস্ফোরণ ঘটায় বাড়িতে থেকে কেউ বেরতে পারেননি। জীবন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই। রাতেই শিশু-সহ ৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে পুলিশ। একজনকে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
মঙ্গলবার ভোররাতে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সুতপা বণিক নামে বধূর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারের বাক ৩ সদস্য ঘটনার পরই এলাকা ছেড়েছেন। তাঁদের এখনও হদিশ মেলেনি বলেই খবর। এদিকে বাজি কারখানার মালিক দুই ভাই চন্দ্রকান্ত বণিক ও তুষার বণিকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে ঢোলাহাট থানায়। তাঁদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.