রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: হাসপাতালের বেডে ছটফট করছে রোগী। কিন্তু বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও দেখা মেলেনি চিকিৎসকের। কারণ, সেই সময় টিভি দেখতে ব্যস্ত ছিলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অভিযোগ, চিকিৎসকের এহেন গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে এক রোগীর। রবিবার ভোরে অমানবিক এই ঘটনা ঘটেছে কালনা হাসপাতালে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।
জানা গিয়েছে, জ্বর ও বমি নিয়ে শনিবার কালনা হাসপাতালে ভরতি করা হয় পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা কিশোর দাসকে। গভীর রাতে কিশোরবাবুর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। পরিবারের তরফে নার্সদের বিষয়টি জানালে, তাঁরা জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের খোঁজে জরুরি বিভাগে ছুটে যান কিশোর বাবুর পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের অভিযোগ, জরুরি বিভাগে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি চিকিৎসক। এমনকী হাতে পায়ে ধরলেও চিকিৎসক আসতে রাজি হননি বলেই দাবি পরিবারের। কারণ, সেই সময় টিভি দেখতে ব্যস্ত ছিলেন চিকিৎসক। এভাবেই কেটে যায় অনেকটা সময়। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পর ভোরের দিকে চিকিৎসা শুরু হয় কিশোরবাবুর। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
রোগীর মৃত্যুর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহ নিয়ে চলে গিয়েছে রোগীর পরিবার। যদিও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণকান্ত বড়াই। তিনি বলেন, হাসপাতালের সুপারের ঘর ছাড়া আর কোথাও টিভি দেখার কোনও ব্যবস্থা নেই। আর রাতে সুপারের ঘর বন্ধ থাকে। এখানেই স্পষ্ট যে অভিযোগ ভিত্তিহীন। পাশাপাশি, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার। যদিও এবিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.