সুব্রত বিশ্বাস: স্টাফ স্পেশ্যাল (Staff Special trains) নয়, লোকাল ট্রেন চালু হোক সবার জন্য। এই দাবিতে ফের রেল অবরোধ দক্ষিণ-পূর্ব রেল শাখার চেঙ্গাইলে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। এর জেরে আটকে পড়ে হাওড়া-খড়গপুরগামী আপ ও ডাউন ট্রেন। অবরোধকারীদের দাবি, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া-গামী সমস্ত ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দিতে হবে। এর জেরে কার্যত ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে চেঙ্গাইল স্টেশন। রেলট্র্যাকে (Rail block) নেমে অবরোধ করেন এলাকাবাসী।
লোকাল ট্রেন (Local Trains) চালুর দাবিতে শহরতলি এলাকায় যাত্রীবিক্ষোভ নতুন নয়। এর আগে গত মাসে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সোনারপুর, মল্লিকপুরে পরপর দু’দিন ধরে ব্যস্ত সময়ে চলে অবরোধ। পরে একদিন দমদম (Dumdum) ক্যান্টনমেন্টেও একই দাবি তুলে অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। শামিল হন মহিলা যাত্রীরাও। পরপর ঘটনার জেরে লোকাল ট্রেন চালু করতে চেয়ে একাধিকবার রাজ্যের কাছে আবেদন জানায় রেল। কিন্তু রাজ্য তা নাকচ করে। উলটে রাজ্যের পরামর্শ, স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চড়তে দেওয়া হোক। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি তাতেও। রোজ রোজ ভিড় বেড়েছে যাত্রীদের। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিক্ষোভও।
মঙ্গলবার চেঙ্গাইল স্টেশনে অবরোধে নেমে যাত্রীদের স্পষ্ট দাবি, ”দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ লোকাল ট্রেন। আমরা কাজে যেতে পারছি না। এখন তো সব খুলে গিয়েছে। তাহলে লোকাল ট্রেনও চালু করা হোক। স্টাফ স্পেশ্যাল আর প্রয়োজন নেই।” পাশাপাশি, তাঁদের অভিযোগ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর ডিভিশনে যে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চলে, তার সংখ্যাও খুবই কম। তাও সব ক’টি ট্রেন হাওড়া পর্যন্ত যায় না। তাঁদের এই অভিযোগের পর ৫ জোড়া ট্রেন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র একটি হাওড়া পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। তাও যাত্রী সংখ্যার তুলনায় অনেক কম। এদিন দীর্ঘক্ষণ ধরে যাত্রীরা রেলট্র্যাকে নেমে বিক্ষোভ দেখান। শেষে রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ হঠিয়ে দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.