ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরতেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এতেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে মানুষকে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েও একাধিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে পুলিশ- প্রশাসনকে। এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির প্রতিবাদে জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ। একই ছবি উত্তর ২৪ পরগনাতেও।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে বারাসতের একটি কলেজ স্যানিটাইজ করতে দেখেন স্থানীয়রা। এতেই স্থানীয়রা অনুমান করেন যে, ওই কলেজ তৈরি হতে চলেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ওই এলাকায় কোনওভাবেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা যাবে না বলে জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশ আধিকারিকদেরও। বৃহস্পতিবারও কার্যত একই ঘটনা ঘটেছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। এদিন আমডাঙার আদহাটা এলাকার একটি স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করতে গেলে বেঁকে বসে স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক আটকে চলে বিক্ষোভ। একই ছবি দেখা যায় আমডাঙার বোদাইয়েও। সেখানেও সংক্রমণের আতঙ্কে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরিতে আপত্তি জানান স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ চলে অবরোধ। হাবড়ার রাউতাড়া পঞ্চায়েত এলাকাতেও একইভাবে চলে বিক্ষোভ। বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশ আধিকারিকদের।
তবে শুধু কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরিতে বাধাই নয়, বৃহস্পতিবার পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে শামিল হন বারাসতের বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, ভিনরাজ্য থেকে বাসে যে শ্রমিকরা বারাসতে এসেছেন তাঁদের প্রত্যেককে বাস থেকে নামিয়ে সরাসরি নিয়ে যাওয়ার কথা বারাসত স্টেডিয়ামে। সেখানে স্ক্রিনিংয়ের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু পুলিশ শ্রমিকদের উপর যথাযথ নজর রাখছে না। যার ফলে বাস থেকে নেমে যত্রতত্র ঘুরছেন শ্রমিকরা। এতেই সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই বারাসত মহকুমা এলাকায় ২৮ জনের শরীরে মিলেছে করোনার জীবাণু। যাদের মধ্যে আমডাঙার বাসিন্দা ১০ জন, বেড়াচাপার ১০ জন, হাবড়ার ৭ জন ও অশোকনগরের ১জন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.