বাবুল হক, মালদহ: ফেসবুকে ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে ছাত্রীর নামে কুরুচিকর পোস্ট। নিজের অজান্তে দুর্নাম বাড়তে থাকায় অবসাদে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিশোরী। সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়ার পর মালদহের চাঁচলের ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়েছে। শুরুতে বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও স্থানীয় থানার ওসি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। নবান্ন থেকে ফোন গিয়েছে মেয়েটির পরিবারের কাছে। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তার খোঁজ শুরু হয়েছে।
কাউকে বদনাম করতে সোশ্যাল মিডিয়াকে অপব্যবহারের প্রবণতা উর্ধ্বমুখী। এবার শিকার চাঁচলের পুখুরিয়া গ্রামের এক স্কুল ছাত্রী। তার নামে ফেক প্রোফাইল বানিয়ে নিয়মিত অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি ওই অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হত। যাকে জড়িয়ে এই কাণ্ড, সেই মেয়েটির কাছে কোনও স্মার্টফোন বা অ্যান্ডড্রয়েড ফোন ছিল না। সাধারণ একটা মোবাইল সে ব্যবহার করে। কম্পিউটার নিয়েও আগ্রহ নেই। মাস দেড়েক আগে ওই ছাত্রীর এক পরিচিত বিষয়টি দেখে মেয়েটিকে অপ্রিয় প্রশ্ন করেন। এরপর নিয়মিত পরিচিতদের থাকা নানা বাঁকা কথা শুনতে থাকেন ওই কিশোরী। তার কোনও অ্যাকাউন্ট বোঝানোর চেষ্টা করলেও, অনেকে তা মানতে চায়নি। মাস খানেক আগে থানায় গিয়ে ওই ছাত্রী ও তার পরিবার বিষয়টি জানালেও পুলিশ উদাসীন ছিল বলে অভিযোগ। মেয়েটির পরিবার জানায়, এটি তাদের কাজ না বলে পুলিশ দায় এড়ায়। পরিচিতদের গঞ্জনা, প্রশাসনের অসহযোগিতার ফলে অবসাদে আত্মহত্যার কথা জানিয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নজরে আনার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।
সম্প্রতি ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান পুখুরিয়া থানার ওসি অভিষেক তালুকদার। তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, নবান্ন থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রত্যন্ত এলাকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণে অবাক এলাকার বাসিন্দারা। ফেসবুকে কোনও অ্যাকাউন্ট না থাকার পরও কেন তাকে এভাবে অপমান সইতে হবে তা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, মালদহ জেলার কেউ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.