ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজা রামমোহন রায়ের (Ram Mohan Roy) ভূমিতে সন্দেশখালির মতো ঘটনা! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী যেন ভাবতেই পারছেন না, বাংলার বুকে একটা সন্দেশখালি হতে পারে। রাজা রামমোহন রায়ের মতো সমাজ সংস্কারকের ভূমিতে শাহজাহানের জন্ম হতে পারে। এদিন আরামবাগের সভা থেকে ছত্রে ছত্রে তৃণমূলকে যেমন তিনি আক্রমণ করে গেলেন, তেমনই বুঝিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভূমিকায় তিনি ক্ষুব্ধ, ব্যাথিত।
শুক্রবার আরামবাগে সভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। অদূরে খানাকুলে জন্মেছিলেন মহান সমাজ সংস্কারক রামমোহন রায়। ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী যেমন রামমোহনকে স্মরণ করলেন, তেমনি কুর্নিশ জানালেন নারীশক্তিকে। আসলে প্রধানমন্ত্রী তখন জমি তৈরি করছিলেন। তারপর সেই জমি ব্যবহার করেই সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে কোণঠাসা করলেন মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রামমোহন রায়ের মতো মহান সমাজ সংস্কারক মহিলাদের উন্নতির জন্য জীবন উৎসর্গ করেন। নারীমুক্তির মূর্ত প্রতীক রামমোহন। তাঁর রাজ্যেরই সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা দেখে গোটা দেশ কষ্ট পাচ্ছে, ক্ষুব্ধ। রামমোহনের আত্মা যেখানেই থাক, সন্দেশখালির মহিলাদের দুর্দশায় কাঁদছে।”
সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকাকে কাঠগড়ায় তুলে মোদি বললেন, “সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর মমতা দিদির সরকার অপরাধীদের বাঁচাতে সবরকম চেষ্টা করেছে। আজ বাংলার মানুষ দিদিকে জিজ্ঞেস করছে, সামান্য কিছু মানুষের ভোট কি আপনার জন্য সন্দেশখালির যন্ত্রণাদীর্ণ মহিলাদের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “দু’মাস কী করে ফেরার ছিল শাহজাহান? কেউ নিশ্চয় আড়াল করছিল? এই তৃণমূলকে কী ক্ষমা করা যায়?”
জমি তৈরিই ছিল। সন্দেশখালির মতো হাতেগরম ইস্যু নিয়ে বাংলায় দাঁড়িয়ে বাংলার সরকারকে তুলোধোনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেটাও প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু সন্দেশখালির সঙ্গে তিনি যেভাবে রামমোহন রায় প্রসঙ্গ টেনে শাসকদলকে নাস্তানাবুদ করলেন, সেটা বোধহয় ভোটের (Lok Sabha 2024) মুখে চাপ আরও বাড়াল তৃণমূলের উপর। অন্তত রাজনৈতিক মহলের তেমনটাই মত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.