ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশিতভাবেই চব্বিশের লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) আগে বিজেপির বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Mandir)। বিজেপি নেতাদের প্রচারে বার বার শোনা যাচ্ছে রামমন্দির, রামলালার নাম। আর পয়লা মার্চ, বঙ্গ সফর থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে প্রধানমন্ত্রী মোদিও সেই অস্ত্রেই ফের শান দিলেন। রামলালা, রামমন্দির, তার সঙ্গে বাংলাকে যুক্ত করে আরামবাগের সভায় বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, অযোধ্যায় রামমন্দির স্থাপন বাংলার মানুষের আশা পূরণ করেছে। তাঁরাও খুশি।
শুক্রবার বিহার, ঝাড়খণ্ডে সভা সেরে দুপুরে আরামবাগ (Arambag)এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিজেপি নেতৃত্ব ছাড়াও রাজ্যের তরফে ছিলেন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক বেচারাম মান্না। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে বাংলার জন্য সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এর পর পার্শ্ববর্তী মঞ্চে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে ওঠেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আর সেখান থেকেই তাঁর মুখে শোনা গেল রামমন্দির প্রসঙ্গ। মোদির কথায়, ”৫০০ বছর পর শ্রীরাম নিজের মন্দিরে স্থান পেয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে রামলালাকে স্বাগত জানানো হয়েছে, বাংলার মানুষের শ্রীরামের প্রতি যে আস্থা রয়েছে, তা গোটা দেশকে অনুপ্রেরণা দেয়।”
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় মহাসমারোহে উদ্বোধন হয়েছে নবনির্মিত রামমন্দিরের। প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। সেই অনুষ্ঠানে বাংলা-সহ গোটা দেশের পবিত্র স্থানগুলি থেকে মাটি, জল সংগ্রহ করে অযোধ্যায় পৌঁছে দিয়েছেন বাংলার বিজেপি সাংসদ, নেতারা। ওইদিনও অযোধ্যার পবিত্র অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তাঁরা। শুধু তাঁরাই নন, হাজার হাজার বঙ্গবাসী সেখানে গিয়েছিলেন। রামমন্দির বা রামলালা নিয়ে বাংলার মানুষের আবেগ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর মোদির বক্তব্যে উঠে এল সেকথাই। তাঁর বক্তব্য, শ্রীরামকে নিয়ে বাংলার মানুষের শ্রদ্ধা গোটা দেশের কাছে অনুপ্রেরণার। উল্লেখ্য, এই বঙ্গেই একাধিকবার ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে একাধিক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু তার পরও অযোধ্যায় বাংলার ভক্তদের মুখেই শ্রদ্ধা-সহকারে শোনা গিয়েছিল সেই ধ্বনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.