দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সুদিনে বড় দুর্ঘটনা। কাব্যচর্চা অসমাপ্ত রেখেই কবিজীবনে ইতি পড়ল। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকায় কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে গিয়ে মৃত্যুর কোলে চিরঘুমে তলিয়ে গেলেন হুগলির বাসিন্দা, কবি সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে ঢাকায় কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হোটেলের শৌচালয়ের পড়ে যান। তড়িঘড়ি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিজের কাব্যসৃষ্টির মধ্যে দিয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছনোর আগেই চলে গেলেন কবি।
কবি সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। উত্তরপাড়ার ধ্রুব পাল রোডের বাসিন্দা। সংস্কৃতিমনস্ক, ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠের পাশাপাশি লেখালেখি করতেন। তাঁর ভাই সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “দাদা গত তিন বছর ধরে মাতৃভাষা দিবসে কবিতা পাঠের আমন্ত্রণ পেয়ে ঢাকায় যেতেন। এবছরও ঢাকায় ছুটে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি হার্টের অসুখে ভুগছিলেন।” ঢাকা সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। কিন্তু বাথরুমে গিয়ে তিনি পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। ততক্ষণে প্রাণবায়ু নিভে গিয়েছে কবির।
এমন স্মরণীয় দিনে বাংলার এক কবির মৃত্যুতে ওপার বাংলার সাহিত্য মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইতিমধ্যেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে কবির মরদেহ উত্তরপাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মৃতের বাড়িতে ছুটে যান স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব। পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা প্রকাশ করেন, সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। তবে পরিবার এবং প্রতিবেশীদের সকলেরই আক্ষেপ, যে কবিতার জন্য জীবনের অনেকটা সময় নিবেদন করেছেন, সেই কবিতা পাঠ অসমাপ্ত রেখেই চলে যেতে হল তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.