ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব দাস, বারাসত: ভুয়ো নথি দেখিয়েই মিলছে ওষুধের দোকানের (Pharmacy) লাইসেন্স তৈরির প্রতিশ্রুতি। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। আর তারপরই বারাসত থেকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হল চারজনকে। ধৃতরা বীরভূম ও মালদহের বাসিন্দা। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সম্প্রতি বারাসত (Barasat) থানার পুলিশ খবর পায়, বেশ কয়েকজন যুবক ভুয়ো নথি দেখিয়ে ওষুধের দোকানের লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা করছে। এই তথ্য হাতে আসার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বারাসতে হানা দেয় পুলিশ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকা থেকে হাতেনাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা বীরভূম ও মালদহের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের নজর এড়াতেই ভিনজেলায় আশ্রয় নিয়ে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল তারা। ধৃতদের কাছ থেকে কিছু ভুয়ো নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। কারা প্রতারণা চক্রে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভুয়ো নথির বিনিময়ে কাউকে আদৌ ওষুধের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছিল কিনা ধৃতরা, সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
ওষুধের দোকানের লাইসেন্স পেতে গেলে কিছু শর্ত রয়েছে। উপযুক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে এই লাইসেন্স কারও পক্ষে পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, সঠিক ব্যবহারে ওষুধই কোনও রোগীকে যেমন নবজীবন দিতে পারে। আবার ভুল ব্যবহারে সেই ওষুধই হয়ে উঠতে পারে প্রাণহানির কারণ। সেক্ষেত্রে ভুয়ো নথি দেখিয়ে ওষুধের দোকানের লাইসেন্স তৈরি করে দেওয়ার মতো কাজ যথেষ্ট গুরুতর অপরাধ বলেই মনে করছেন সকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.