প্রতীকী ছবি
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পানাগড়ে ব্যবসায়ী অপহরণ কাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। ৫ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বুদবুদ থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন ইসিএল কর্মী। আরও দুই যুবক বিটেক পাশ বলেই খবর। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, নেশার টাকা আদায় করতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চায় তারা। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
গত ১০ জানুয়ারি, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের বুদবুদ থানায় পানাগড়ের পাথর ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বুদবুদ থানার সোয়াই মোড়ের কাছে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয় তাঁকে। পরিবারের লোকজনকে ফোন করে প্রথমে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। ১০ লক্ষ টাকার রফা হয়। অবশেষে ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘণ্টাখানেক পর হোটেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ব্যবসায়ীকে। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি, বুদবুদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই শুরু হয় তদন্ত। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতে অবশেষে পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা হল অভিজিৎ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় খাওয়াস, সঞ্জীব বিশ্বাস, সোহম চট্টোপাধ্যায় এবং বিমলেশ কুমার ঠাকুর। ধৃতরা কাঁকসা এবং দুর্গাপুর নগর নিগম এলাকার বাসিন্দা।
ধৃতদের কাছ থেকে চারচাকা গাড়ি এবং একটি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড গুলি এবং নগদ ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি মোবাইলও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটর ডিসি অভিষেক গুপ্তা বলেন,”অপহরণ করে টাকা আদায়ই ছিল অপহরণকারীদের মূল উদ্দেশ্য। তাদের ৫০ লক্ষ টাকা দাবি ছিল। ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ পাওয়ার পর অপহরণকারীরা ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনার নেপথ্যে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তার তদন্ত চলছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.