অর্ণব দাস, বারাসত: আলমারিতে দামি দামি শাড়ি, গয়না রেখেছিলেন স্ত্রী, মেয়ে। কিন্তু ধাপে ধাপে তা চুরি হয়ে যাচ্ছিল। কে, কখন, কীভাবে চুরি করছিল, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না মধ্যমগ্রামের এলআইসি টাউনশিপের বাসিন্দা আশিস দাশগুপ্ত এবং তাঁর পরিবার। এনিয়ে মধ্যমগ্রাম থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিনারা হয়নি। তবে এবার সোশাল মিডিয়ার সূত্র ধরে চোর ধরা পড়ল একেবারে হাতেনাতে! চুরির কিছুদিন পরেই মালকিনের চুরি করা দামী শাড়ি পরে বাড়ির পরিচারিকা পূজা সর্দার ছবি আপলোড করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ স্টোরিতে। আর সেটাই কাল হল। সেই স্টোরির স্ক্রিনশট নিয়ে সোজা থানায় হাজির মালকিন। তার ভিত্তিতে পরিচারিকাকে গ্রেপ্তার করল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।
শুধু ওই একটি চুরির ঘটনাই নয়। গত চার মাসে একটি সাইবার প্রতারণা-সহ মোট ৬টি চুরির কিনারা করে ফেলল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। চুরি হওয়া সোনার গয়না, বাইক, স্কুটি-সহ সাইবার প্রতারণায় খোয়া যাওয়া ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৬৪ টাকা উদ্ধার করে গ্রাহকদের হাতে তুলে দিলেন পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া। চুরি যাওয়া সামগ্রী ফেরত পেয়ে স্বভাবতই খুশি তাঁরা।
মধ্যমগ্রাম চৌমাথা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বাংলার অধ্যাপিকা পুষ্প বৈরাগ্য। বাড়ির পরিচারিকার উপর যথেষ্ট বিশ্বাস, ভরসা ছিল। সেই পরিচারিকাই একদিন আলমারি থেকে প্রায় ৮০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না চুরি করে চম্পট দিয়েছিল। বিষয়টা কিছুটা আন্দাজ করেই পরিচারিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পুষ্পদেবী। এরপর পুলিশ তদন্ত চালিয়ে খোয়া যাওয়া ৮০ গ্রাম সোনার মধ্যে ৩৮ গ্রাম গয়নাই উদ্ধার করেছে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, ”মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ খুব তৎপরতার সঙ্গে ছ’টি চুরির কিনারা করেছে। পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।আদালতের নির্দেশে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলো এদিন প্রকৃত গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও একটি সাইবার প্রতারণা মামলায় টাকা উদ্ধার করে গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.