Advertisement
Advertisement
Maldah

মাদক পাচারের তদন্তে গিয়ে চক্ষুচড়কগাছ পুলিশের! মালদহে বমাল গ্রেপ্তার ASI

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।

Police ASI arrested in Maldah

আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতদের। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:May 12, 2025 6:01 pm
  • Updated:May 12, 2025 6:07 pm  

বাবুল হক, মালদহ: মাদক পাচারের কথা গোপন সূত্রে জানতে পেরে পুলিশ হানা দিয়েছিল অকুস্থলে। সেখান থেকে বমাল গ্রেপ্তার হয় চারজন। তবে ধৃতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জেনেই চমকে ওঠেন তদন্তকারীরা। কারণ, মাদক-সহ গ্রেপ্তার হয়েছেন খোদ পুলিশ আধিকারিক। এছাড়াও আছেন একজন এনভিএফ কর্মী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকায়। ধৃতদের এদিন আদালতে তোলা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাফিজটোলা গ্রামে মাদক পাচারের কথা গোপন সূত্রে তদন্তকারীদের কাছে গিয়েছিল। সেই মতো ইংরেজবাজার থানার মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ ওই গ্রামে হানা দেয়। গ্রাম থেকে বমাল সমেত গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। ধৃতদের থেকে মোট ৪০৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এএসআই মহঃ সফিকুল ইসলাম। তিনি মানিকচক থানার বালুটোলা ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ছাড়াও সফিকুল শেখ নামে এক এনভিএফ কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দু’জন মাদক পাচারকারী বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

ওই পুলিশ আধিকারিকও কি মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত? ওই জায়গায় তাঁরা কী করছিলেন? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ও নজরদারি দুই’ই বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতে কোনওরকম পণ্য চোরাচালান না হয়, কেউ যাতে সীমান্ত পেরিয়ে না ঢুকতে পারে, কড়া সেই নজরদারি চলছে। পুলিশও কড়া নজর রাখছে এলাকায়। সেই আবহে মাদক-সহ গ্রেপ্তার হলেন ওই পুলিশ আধিকারিক। আজ সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। সেই কথা জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মাদক পাচারচক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িয়ে, চক্রের মাথা কে? সেসব বিষয়ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে খবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement