ছবি: প্রতীকী
সুমন করাতি, হুগলি: ওয়াটগঞ্জের পর হুগলির গোঘাট। রাঙামাটির জঙ্গলে তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড়। এই ঘটনার নেপথ্যেও তন্ত্রসাধনার যোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে এক তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধৃত তান্ত্রিকের নাম দুর্লভ রায় ওরফে দুলাল। তারাহাটের কীর্তিবাসপুর গ্রামের বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর আগে দুলাল দ্বিতীয় বিয়ে করে। তার পর থেকে কামারপুকুরের ভাটারমোড় এলাকায় থাকত সে। ইঞ্জিনভ্যান চালানোর পাশাপাশি তন্ত্রসাধনা করত। স্থানীয়দের দাবি, সকালে সকলকে তাবিজ, কবচ দিত। আর রাতে হত তন্ত্রসাধনা। সিদ্ধিলাভ করতে দুলাল ওই তরুণীকে খুন করে বলেই অভিযোগ। প্রমাণ লোপাটে গোঘাটের রাঙামাটির জঙ্গলে দেহ ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণী পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর এলাকার বাসিন্দা। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তার পর রবিবার সকালে গোঘাটের রাঙামাটির জঙ্গল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ধৃত তান্ত্রিকের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর আত্মীয়র বাড়ির কাছে তরুণীর বাস। সেই সূত্রে তান্ত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ বলে অনুমান। তরুণীর সঙ্গে ওই তান্ত্রিক দুলালের বেশ কয়েকবার ফোনে কথাও হয়। কললিস্টের সূত্র ধরেই পুলিশ তদন্ত করে কামারপুকুর থেকে দুর্লভ রায় ওরফে দুলালকে গ্রেপ্তার করে।
জেরায় ধৃত জানায়, ওই তরুণীকে খুন করে তান্ত্রিক। এমনকি খুনের পর প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টাও করে অভিযুক্ত। আরামবাগ মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। খুনের সময় ঘটনাস্থলে তান্ত্রিক কি একাই ছিল নাকি আরও অনেকেই ছিল? তন্ত্রসাধনার জেরে খুন নাকি রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। দুর্লভ নির্দোষ বলেই দাবি তার স্ত্রীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.